রাজধানীর হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ি প্রকল্প এলাকায় সব ধরনের বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ করে এতে পাবলিক ট্রাস্ট প্রপার্টি ঘোষণা দিয়ে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (৩০ জুন) বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক-আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাজউকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ইমাম হাছান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ওয়ায়েস আল হারুনী।
হাইকোর্ট রায়ে বলেন, “হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ি প্রকল্প এলাকা সুরক্ষা করা একান্ত অপরিহার্য। প্রকল্প এলাকায় হোটেল, রেস্তোরাঁসহ সব ধরনের বাণিজ্যিক কার্যক্রম স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো। এছাড়া প্রকল্পটির সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও পরিচালনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন একটি পৃথক কর্তৃপক্ষ গঠন করতে হবে।”
পুরো প্রকল্পের স্থায়ী পরামর্শক হিসেবে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালের প্রকৌশল বিভাগ এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪তম ইঞ্জিনিয়ারিং ব্রিগেডকে নিয়োগ করা হলো জানিয়ে রায়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
হাইকোর্টের অপর নির্দেশনায় বলা হয়, পুরো প্রকল্প এলাকায় জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য মাটির নিচে ওয়াশরুমের ব্যবস্থা করতে হবে। রায়ে পুরো প্রকল্প এলাকায় নির্ধারিত দূরত্বে বিনামূল্যে সব জনসাধারণের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা করার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া পায়ে হাঁটার জন্য, সাইকেল চালানো ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জন্য পৃথক লেন করার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
পুরো প্রকল্প এলাকার লেকের পানিতে কোনো ধরনের বাণিজ্যিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সেখানে মাছের অভয়ারণ্য তৈরির ঘোষণা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ি প্রকল্পটিতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশনা চেয়ে ২০১৮ সালে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে হাইকোর্টে রিট করা হয়। এই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে চূড়ান্ত রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।