বাংলাদেশে উদ্ভাবিত প্রথম করোনার টিকা বঙ্গভ্যাক্সের ট্রায়াল শুরু করেছে গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড। তবে টিকা পরীক্ষা হচ্ছে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক থেকে ধরে আনা বানরের ওপরেই।
সোমবার গ্লোব বায়োটেকের কোয়ালিটি অ্যান্ড রেগুলেটরি অপারেশনসের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন এই তথ্য জানান। ১ আগস্ট শুরু হওয়া ট্রায়াল চলবে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত। এরপর ফলাফলের ভিত্তিতে মানবদেহে টিকা প্রয়োগের জন্য বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের (বিএমআরসি) কাছে আবেদন করবে প্রতিষ্ঠানটি।
গত ২২ জুন গ্লোব বায়োটেককে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের আগে বানর কিংবা শিম্পাঞ্জির ওপর টিকার পরীক্ষার নির্দেশনা দেয় বিএমআরসি। তবে বানর ধরতে গিয়ে স্থানীয়দের তোপের মুখে পড়েন গ্লোব বায়োটেকের কর্মকর্তারা। গবেষণার কাজে বন্য প্রাণী ব্যবহার নিয়ে সমালোচনার মুখেও পড়েন তারা।
ট্রায়ালের ব্যাপারে বিএমআরসির বিরুদ্ধে সহযোগিতা না করার অভিযোগ করেন মোহাম্মদ মহিউদ্দিন। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের নৈতিক অনুমোদন না দিয়ে বানরের শরীরে ট্রায়ালের অর্থ উৎপাদন করতে বা অনুমোদন পেতে আরও অনেক সময় লাগা। যদি বানরের শরীরে প্রয়োগের প্রয়োজন হতো, তবে বিএমআরসি আরও চার মাস আগে জানাতে পারত।’
বানরের ওপর টিকা পরীক্ষার জন্য বিদেশে চেষ্টা করার কথাও জানান গ্লোব বায়োটেকের কর্মকর্তারা। তাদের দাবি উন্নত দেশগুলোতে এমআরএনএ টিকা বানরের ওপর পরীক্ষা করা হয় না। তবে বিএমআরসির নির্দেশে বাধ্য হয়ে বন বিভাগের অনুমোদন নিয়ে বানর সংগ্রহ করে ট্রায়াল শুরু করছেন তারা। আন্তর্জাতিক প্রটোকল অনুসরণ করেই ট্রায়াল হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছে গ্লোব বায়োটেক।