বিতর্কিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির বিষয়ে ওঠা প্রতারণার অভিযোগ ও পরিচালনার নিয়ম পর্যালোচনায় কমিটিতে দুই সচিবসহ ৩ জনের নাম প্রস্তাব করে হাইকোর্টে জমা দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
প্রস্তাব করা ৩ জন হলেন- স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব রেজাউল আহসান, সংস্কার বোর্ডের সচিব ইয়াকুব আলী পাটোয়ারী এবং সাবেক সচিব মাকছুদুর রহমান পাটোয়ারী। এদের মধ্যে একজন কমিটিতে রাখা হবে বলে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এদিকে ইভ্যালি পরিচালনার জন্য কমিটি গঠনের আদেশের দিন পিছিয়ে দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে নতুন আদেশের দিন তারিখ জানানো হয়নি।
বুধবার (১৩ অক্টোবর) ব্যাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আইনজীবী তাপস কান্তি বল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে আদেশ দেন।
রিটকারী আইনজীবী সৈয়দ মাহসিব হোসাইন জানান, কমিটি গঠনের জন্য প্রস্তাবিত ব্যক্তিদের ব্যাকগ্রাউন্ড পর্যালোচনা করে আদালত আগামী সপ্তাহে এই বিষয়ে আদেশ দেবেন।
এর আগে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি পরিচালনার জন্য কমিটি করে দেয়ার কথা বলেন হাইকোর্ট। একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, একজন সচিব, চার্টার্ড অ্যাকাউনটেন্ট ও একজন আইনজীবীকে কমিটিতে রাখার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন আদালত।
শুনানিতে আদালত বলেন, "কোম্পানির দুই সদস্যই কারাগারে। কীভাবে বোর্ড মিটিং হবে? বোর্ড মিটিং করতে গেলেও তা করা যাচ্ছে না। বোর্ড মিটিং না করতে পারলে টাকা কোথায় কী আছে, সে বিষয়েও জানা যাচ্ছে না। সাবেক বিচারপতি, সচিব ও চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টসহ ৪ জন রাখা যেতে পারে। বেসরকারি কোম্পানিতে ৪ জনের বেশি সদস্যের দরকার নেই।"
গত ৩০ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির সব নথি তলব করেছিলেন হাইকোর্ট। সে অনুযায়ী ১১ অক্টোবর বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চে সব নথি দাখিল করেন জয়েন্ট স্টক কোম্পানির রেজিস্ট্রার।
এর আগে এক গ্রাহকের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ২২ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির সব ধরনের সম্পদ বিক্রি এবং হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট। ওই আদেশের ধারাবাহিকতায় নথি তলবের আদেশ দেন বলে জানান আইনজীবী সৈয়দ মাহসিব হোসেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এএম মাছুম ও সৈয়দ মাহসিব হোসেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, রেজিস্ট্রার জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মস, ভোক্ত অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও প্রতিযোগিতা কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তাপস কান্তি বল।