বঙ্গীয় সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদের উদ্যোগে ‘বীরত্বের গাথায় সুবর্ণ বিজয় অনুষ্ঠান’ এবং দুইশত তরুণ কবির কবিতা সংকলন ‘বন্ধুত্ব’র মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার প্রধান মিলনায়তনে অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করেন আতাউর রহমান।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ রেগুলেটরি কমিশন-বিটিআরসির চেয়ারম্যান কবি শ্যামসুন্দর সিকদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন।
সম্মাননা প্রাপ্তরা হলেন বীরমুক্তিযোদ্ধা সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, সাব-সেক্টর কমান্ডার সরিত কুমার লালা, বিশিষ্ট সমাজসেবক আনোয়ার হোসেন খান, নাট্যঋষি নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সচিব মো. আবুল মনসুর, বঙ্গীয়র কেন্দ্রীয় সভাপতি কথাশিল্পী সেলিনা হোসেন, মুখ্যউপদেষ্টা কবি আজিজুর রহমান আজিজসহ দেশের বরেণ্য কবি, বঙ্গীয় সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদের সাধারণ সদস্য লায়লা হাসান, লেখক, শিল্পী ও শিক্ষক।
অনুষ্ঠানে কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন উপস্থিত বিশেষ অতিথিদের উত্তরীয় পরিয়ে দেন।
অনুষ্ঠানে কবি আজিজুর রহমান আজিজ বলেন, “আমাদের স্বাধীনতা একদিনের ফসল নয়, না কেবল ১৯৭১ সালের। ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট থেকেই শুরু হয় বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রামের দীর্ঘ পথ। ইতিহাস আমাদেরকে স্বাধীনতা দিয়েছে। এখন তরুণদের হাতেই সে স্বাধীনতা রক্ষার দায়িত্ব।”
এ সময় নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে বলেন, “আগামী ১০ বছরে আপনারা হয়তো আর মুক্তিযোদ্ধা খুঁজে পাবেন না। কিন্তু তাতে কোনো দুঃখ নেই, কেননা তাদের সেই অর্জন আজ আমাদের স্বাধীনতার ফসল।”
স্বাধীন দেশের প্রতি আক্ষেপ করে সরিত কুমার লালা বলেন, “এ বছর আমাদের জন্য অত্যন্ত গৌরবের, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, মুজিব শতবর্ষ। তবে আমি যথেষ্ট সন্দিহান আমরা কতটা স্বাধীন হয়েছি। প্রতিদিন কত কত ধর্ষণের খবর আমরা পাচ্ছি! এ তবে কেমন মুক্তি?”