শুরু হয়েছে অমর একুশে বইমেলা। মেলার প্রথম দিন ক্রেতা-দর্শনার্থী কম থাকলেও দ্বিতীয় দিন বুধবার মেলা প্রাঙ্গণ হয়ে ওঠে জমজমাট। তবে সরেজমিনে দেখা গেছে, বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অনেক স্টলই ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হয়নি।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে এবার কিছুটা পিছিয়ে শুরু হয়েছে বইমেলা। মেলায় স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা অনেকাংশে কম চোখে পড়েছে। তাই করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দর্শনার্থী এবং বইপ্রেমীদের মেলায় আসার আহ্বান জানিয়েছে মেলা কর্তৃপক্ষ।
বইপ্রেমীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের অনুভূতির কথা। দীর্ঘ অপেক্ষার পর বইমেলা শুরু হওয়ায় উচ্ছ্বসিত দর্শনার্থীরাও। বইমেলার আনন্দকে আরও দীর্ঘ সময় ধরে রাখতে চান তারা।
বইমেলার অনুভূতি ব্যক্ত করেন কথাসাহিত্যিক শাখাওয়াৎ নয়ন। তিনি বলেন, “বইমেলা আমাদের প্রাণের মেলা। এই মেলাকে কেন্দ্র করেই পাঠক এবং লেখকের এক মেলবন্ধন হয়, যা সব সময় আমাদের কাম্য। এবার বইমেলা কিছুটা বিলম্ব হওয়ায় প্রথম দিকে মনঃক্ষুণ্ণ হয়েছি। তবে পাঠকের সমাগম এবার সত্যিই প্রশংসনীয়।”
এবারের বইমেলায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১০২টি প্রতিষ্ঠানকে ১৪২টি স্টল এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৪৩২টি প্রতিষ্ঠানকে ৬৩৪টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মোট ৫৩৪টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৭৬টি বইয়ের স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এবারের মেলায় প্যাভিলিয়নের সংখ্যা ৩৫। তবে গত বছরের তুলনায় এবার বইয়ের স্টল সংখ্যা কমেছে। গত বছর বইয়ের স্টল সংখ্যা ৮৩৪টি। কিন্তু এবার বেড়েছে প্যাভিলিয়নের সংখ্যা। গত বছর প্যাভিলিয়নের সংখ্যা ছিল ৩৩টি, যা এবার বেড়ে ৩৫টি হয়েছে।
বইমেলায় বাংলা একাডেমি এবং মেলায় অংশগ্রহণকারী অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ২৫ শতাংশ কমিশনে বই বিক্রি করছে। এবার মেলায় লিটলম্যাগের স্টল পেয়েছে ১২৭টি ।