ঢাবির কেন্দ্রীয় বার্ষিক নাট্যোৎসব শুরু আজ


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১, ২০২২, ০৩:৪০ পিএম
ঢাবির কেন্দ্রীয় বার্ষিক নাট্যোৎসব শুরু আজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের স্নাতক সমাপনী সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের নির্দেশনা ও বিভাগটির শিক্ষার্থীদের অভিনয়ে ১৬ তম কেন্দ্রীয় বার্ষিক নাট্যোৎসব শুরু হচ্ছে আজ। চলবে আগামী ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

‘হে উৎসুক দৃষ্টিপাত, এ তীর্থে আসো যদি হে শ্রীজ্ঞান, কায়ায় কায়ায় সৃজিব, নব নব জীবনের মানুষ-রূপ-আখ্যান’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আট দিনের এই নাট্যোৎসবে ১৫ জন শিক্ষার্থীর নির্দেশনায় ১৫টি নাটক এবং শিক্ষক নির্দেশিত একটিসহ মোট ১৬টি নাটকের প্রদর্শনী চলবে। শিক্ষার্থী নির্দেশিত ১৫টি নাটকের মধ্যে পাঁচটি মৌলিক নাটকসহ সাতটি বাংলা ও তিনটি পাশ্চাত্য নাটক রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে প্রতিদিন সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় নাটকের প্রদর্শনী শুরু হবে। নাট্যোৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূরকে প্রদান করা হবে বিশেষ সম্মাননা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে নাট্যোৎসব উদ্বোধন করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ও কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির।

কোন দিন কোন নাটক:
বৃহস্পতিবার (ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মুনীর চৌধুরীর ‘কবর’ নাটক দিয়ে শুরু হবে নাট্যোৎসব। একই সন্ধ্যায় মঞ্চস্থ হবে ‘ক্যাম্প’ নাটকটি। মুহম্মদ জাফর ইকবালের লেখা থেকে ‘ক্যাম্প’র নাট্যরূপ দিয়েছেন শংকর কুমার বিশ্বাস এবং নিদের্শনা দিয়েছেন দীপম সাহা।

শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) মঞ্চস্থ হবে ‘কাক চরিত্র’ নাটকটি। মনোজ মিত্রের লেখা নাটকটিতে নির্দেশনা দিয়েছেন সাদমান ফাহিম। এছাড়াও একই দিনে দেখানো হবে নাটক ‘হিস্যা’। সাদাত হাসান মান্টো থেকে অনুপ্রাণীত নাটকটি রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন ওবায়দুর রহমান সোহান।

পরদিন ৩ ডিসেম্বর মঞ্চস্থ হবে ‘দ্য গেম’ নাটক। লুইজি ব্রায়ান্টের লেখা থেকে রূপান্তর ও নির্দেশনায় দিয়েছেন সায়র নিয়োগী। ওইদিন ‘ফুড কনফারেন্স’ নাটকটিরও প্রদর্শনী হবে। আবুল মনসুর আহমেদের লেখা থেকে ‘ফুড কনফারেন্স’র নাট্যরূপ ও নির্দেশনা দিয়েছেন ফারজাদ ইফতেখার কাব্য।

‘ডেথ অব দ্য মুন’ মঞ্চস্থ হবে ৪ ডিসেম্বর। এটি রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন নীলিমা হোসেন। একই দিনে মঞ্চস্থ হবে ‘নিনামার জবানবন্দি’ নাটকও। শংকর কুমার বিশ্বাসের লেখা থেকে এই নাটকের নির্দেশনা দিয়েছেন সুজানা জাহেদী।

৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ‘দ্য গিফ্ট অব দ্য ম্যাজাই’ নাটক দিয়ে শুরু হবে। উইলিয়াম সিডনি পোর্টারের লেখা থেকে নাট্যরূপ ও নির্দেশনা দিয়েছেন শাহবাজ ইশতিয়াক পূরণ। একই সন্ধ্যায় মঞ্চস্থ হবে ‘ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর’ ও ‘ফ্যাতাড়ু’ নাটক দুটি। আন্তন চেখভের লেখা থেকে ‘ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর’ অনুবাদ করেছেন ফয়সাল আবির এবং রূপান্তর ও নির্দেশনা দিয়েছেন হোসাইন জীবন। এছাড়া নবারুণ ভট্টাচার্যের লেখা থেকে ‘ফ্যাতাড়ু’ এর নাট্যরূপ ও নির্দেশনা দিয়েছেন রাফায়াতুল্লাহ।

পরদিন ৬ ডিসেম্বর ‘চূর্ণলিপি’ মঞ্চস্থ হবে। এ নাটকের রচনা ও নির্দেশনায় আছেন নিকিতা আযম। একই সন্ধ্যায় মঞ্চস্থ হবে ‘কণ্ঠনালীতে সূর্য’। মোহিত চট্টোপাধ্যায়ের রচনা থেকে নির্দেশনা দিয়েছেন তনুশ্রী কারকুন।

‘রূপান্তর’ মঞ্চস্থ হবে ৭ ডিসেম্বর। অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের উপসংহার অবলম্বনে ‘রূপান্তরের’ নাট্যরূপ ও নির্দেশনা দিয়েছেন প্রণব রঞ্জন বালা। দ্বিতীয় নাটকটি হলো ‘একটি আদর্শ সেবা সংস্থা’, রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন নাসরিন সুলতানা অনু।

উৎসবের সমাপনী দিন ৮ ডিসেম্বরের মঞ্চস্থ হবে মৈমনসিংহ গীতিকা অবলম্বনে দ্বিজ কানাই প্রণীত ‘মহুয়া’।নাটকটপির নির্দেশনা দিয়েছেন অধ্যাপক রহমত আলী।

 

সাহিত্য-সংস্কৃতি বিভাগের আরো খবর

Link copied!