প্রতিদিন কত রকমভাবে আমরা ত্বকের যত্ন নিয়ে থাকি। তবে সেটি বাইরের দিকটা। শুধুমাত্র চামড়ার অংশের যত্ন নিলেই কিন্তু যথেষ্ট নয় জানাচ্ছে বিভিন্ন প্রতিবেদন। সেই সঙ্গে দৈনন্দিন জীবনে কিছু অভ্যাস থাকতে হবে যেটি ত্বককে ভেতর থেকে উজ্জ্বল ও লাবণ্যময় করে তুলবে। চলুন জেনে নিই অভ্যাসগুলো-
সুষম খাদ্য
উজ্জ্বল ত্বকের জন্য সুষম খাবার খাওয়া প্রয়োজন। প্রতিদিনের খাদ্যতালিতায় পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার যেমন-ফল, শাকসবজি, গোটা শস্য, প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট রাখতে হবে। এসব খাবারে প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা ত্বকের সেলের পুষ্টি বাড়ায়। যার ফলে ত্বকের তারুণ্য বজায় থাকে।
আর্দ্রতা
ত্বক সুস্থ রাখার অন্যতম শর্ত হচ্ছে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখা। পর্যাপ্ত পানি পান শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়। ত্বক হয়ে ওঠে প্রাণবন্ত। প্রতিদিন অন্তত ৮ গ্লাস পানি এবং বিভিন্ন ধরনের পানিযুক্ত ফল যেমন- শসা, তরমুজ খাদ্যতালিকায় রাখলে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকে।
নিয়মিত ব্যায়াম
নিয়মিত ব্যায়াম শরীরে রক্ত সরবরাহ ঠিক রাখে। এর ফলে শরীরে অক্সিজেন সরবরাহও থাকে এবং ত্বকের পুষ্টি বজায় থাকে। নিয়মিত ব্যায়াম করলে ত্বকে তারুণ্যতা বজায় থাকে।
সূর্যের আলো থেকে সুরক্ষা
বেশি সময় রোদে থাকলে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এজন্য বাইরে গেলে ত্বকের সুরক্ষার জন্য সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। সেই সঙ্গে সূর্য থেকে সুরক্ষার জন্য হাত-পা ঢাকা পোশাক পরতে পারেন।
পর্যাপ্ত ঘুম
রাতে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করুন। পর্যাপ্ত ঘুম ত্বকের স্বাস্থ্য ধরে রাখে।
মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ
অতিরিক্ত মানসিক চাপে শরীর থেকে কর্টিসল হরমোন নিসৃত হয়। এর ফলে ত্বকের নানা সমস্যা যেমন-ব্রণ, অ্যাকজিমা, অকালে বুড়িয়ে যাওয়ার সমস্যা হয়। মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে মেডিটেশন, শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম, ইয়োগা করুন। প্রকৃতির সান্নিধ্যে সময় কাটান। এসব কার্যক্রম ত্বকে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
রুটিন মেনে যত্ন
ত্বকের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রতিদিন রুটিন করে ত্বকের যত্ন নেওয়া উচিত। নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার, এক্সফোলিয়েট, টোনিং এবং ময়শ্চারাইজিং করা গুরুত্বপূর্ণ।