• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২০ মুহররম ১৪৪৫

ঘর পরিষ্কার করার নিয়ম


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৩, ১০:৫২ এএম
ঘর পরিষ্কার করার নিয়ম

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা জীবনের জন্য অপরিহার্য একটি কাজ। এটি ছাড়া শারীরিক সুস্থতা আশা করা বোকামি। তাই বলে শুধুমাত্র নিজের শরীর পরিষ্কার রাখলেই যে হবে তা কিন্তু নয়। যে ঘরটাতে আপনি বাস করেন তারও চাই পরিচ্ছন্নতা। 

তবে শুধুমাত্র মেঝেই নয়, পরিষ্কার রাখতে হবে ঘরের প্রতিটি কোণ, বিশেষ বিশেষ স্থান ও জিনিসপত্র। কারণ প্রতিদিনই ধুলা-বালি, পড়ে থাকা চুল থেকে শুরু করে আরও কতশত ময়লা জমে ঘরে তার ঠিক নেই। যেসব ময়লা খালি চোখে দেখা যায় না।

এনবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে পরিচ্ছন্নতা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ,  ইউনিভার্সিটি অব গুলেফের মাইক্রোবায়োলজিস্ট জ্যাসন টেটরোর পরামর্শ অনুযায়ী কীভাবে ঘর পরিষ্কার করবেন চলুন জেনে নেওয়া যাক-

বিছানা
বিছানা হলো ঘরের সবচেয়ে আরাম ও শান্তির জায়গা। সবার আগে বিছানাটাই পরিষ্কার, জীবানুমুক্ত রাখা উচিত। কারণ বাইরে থেকে যতই পরিষ্কার মনে হোক না কেন, বিছানার চাদর ও বালিশের কভারে ঘাম, তেল, খুশকি ইত্যাদি মিশে অনেক বেশি নোংরা হয়। এগুলো নিয়মিত বিরতিতে পরিষ্কার না করলে নানারকম ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিছানার জিনিসগুলো প্রতি দুই সপ্তাহে একবার অন্তত হালকা গরম পানি দিয়ে ধোয়া উচিৎ।

বেসিন ও সিংক
বেসিন ও সিংক প্রতিদিন ধোয়া উচিৎ যেহেতু সবচেয়ে বেশি নোংরা হয় এগুলো। সবচেয়ে বেশি নোংরা বলা হচ্ছে কারণ দাঁত ব্রাশ, মুখ ধোয়া, হাত ধোয়ার কাজে ব্যবহৃত হয় বেসিন। আর রান্নাঘরের সিংকে থালাবাসন ও খাবার জিনিস ধোয়ার কারণে এখানে ময়লা, খাদ্যকনার পাশাপাশি তেল ও নানারকম জীবাণু লেগে থাকে। তাই প্রতিদিনই একবার করে এগুলো পরিষ্কার করুন। বিশেষ করে সিংকে কাঁচা মাছ বা মাংস ধোয়ার পর অবশ্যই ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।

কার্পেট ও পাপোষ
এক থেকে দুই সপ্তাহ পরপর এগুলো ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করা উচিৎ। আর বাড়িতে যদি পোষা প্রাণী থাকে সেক্ষেত্রে প্রতি সপ্তাহে পরিষ্কার করতে হবে। ভ্যাকুয়াম ক্লিনার না থাকলে খোলা জায়গায় রোদে দিয়ে ঝাড়ু দিয়ে হলেও পরিষ্কার করুন। আর সেই সঙ্গে গরম পানি ও জীবাণুমুক্তকরন মিশিয়ে ওই জায়গার মেঝে মুখে ফেলুন।

বাথরুম
বলা হয় ঘরের এই জায়গায় সবচেয়ে বেশি ব্যাকটেরিয়া থাকে। তাই সপ্তাহে একদিন বাথরুম পরিষ্কার করুন। বাথরুমের সিংক এবং টয়লেটের ছয় ফিট নীচ পর্যন্ত ই.কোলি নামক ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। তাই সপ্তাহে একদিন এগুলোতে জীবাণুমুক্ত তরল ছেটাতে হবে। এছাড়াও বাথরুমের শাওয়ারের পর্দা ও বাথটাব অন্তত দুই সপ্তাহ পরপর ডিপ ক্লিন করুন।

তোয়ালে
গোসলের তোয়ালে স্ট্যাফ এবং ফেক্যাল ধরণের ব্যাকটেরিয়ার ভাণ্ডার বলা যায়। গা মোছার কাজে ব্যবহৃত গামছা বা তোয়ালে ভেজা থাকলে এসবের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। অন্যদিকে রান্নাঘরের তোয়ালেতেও নানারকম ব্যাকটেরিয়া জন্মায়। তাই প্রতি সপ্তাহে একদিন এগুলো গরম পানি দিয়ে জীবাণুনাশক ব্যবহার করে ধুতে হবে। আর যদি কাঁচা মাছ মাংস ধরে হাত মোছেন, তাহলে তো সেটি সঙ্গে সঙ্গেই ধুয়ে ফেলতে হবে।

বাসন মাজার স্পঞ্জ
একটি বাসন মাজার স্পঞ্জের প্রতি স্কয়ার ইঞ্চি জায়গায় কোটি কোটি ব্যাকটেরিয়া থাকবে। তবে এর সবগুলোই যে ক্ষতিকর, তা না। শুধু সাবান আর পানি দিয়ে ধোয়া তাই নিরাপদ না। স্পঞ্জগুলো সাধারণত ফুটন্ত পানিতে অন্তত দুই মিনিট ধরে ডুবিয়ে রেখে ধুতে হবে। দুইদিন পরপর এভাবে ধুলেই ভালো হবে।

দরজার হাতল ও নব
পুরো বাসা ঝকঝক করলেও আমরা দরজার হাতল, নব ইত্যাদি পরিষ্কারের কথা ভুলে যাই। অথচ এগুলোও কিন্তু জীবাণুর আধার। বিশেষ করে বাড়ির প্রধান দরজা, বাথরুম ও রান্নাঘরের দরজা। তাই সপ্তাহে অন্তত একদিন এগুলো জীবাণুনাশক ব্যবহার করে মুছে ফেলতে হবে।

Link copied!