মেয়েদের সৌন্দর্যে কত কিছুই না ব্যবহার হয়। সাজ পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে কানের দুল, হাতের চুড়ি, কপালের টিপ সবই থাকে। বড়রা শুধু নয়, ছোট মেয়েদেরও শখ করে এখন সবই পরানো হয়। সাজানো হয় বড়দের রূপেই। তাই ছোট বয়সেই অনেকে কান ফুঁড়িয়ে দেন। আগে দাদী নানীরা ঘরেই কান ফুঁড়িয়ে দিতেন। এখন পার্লারে কান ফোঁড়ানোর আধুনিক ব্যবস্থা রয়েছে। গানশর্ট দিয়ে দুল পরিয়ে দেওয়া হয় সেখানে। কিন্তু অনেক সময়ই তা শুকাতে বেশ সময় লাগে। বড়রা সেই কষ্ট সহ্য করে নিলেও ছোটদের জন্য তা বেশিই কষ্টকর হয়।
অনেক সময় দেখা যায়, গানশর্ট দিয়ে পড়ানো দুল খুলতে গিয়ে রক্ত বেরিয়ে আসছে। ব্যথা করছে। কিছুতেই শুকাচ্ছে না। তখনই বাড়ে বিপত্তি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পার্লারের যন্ত্রপাতি থেকে সংক্রমণ হতে পারে। কারণ সব পার্লারের গুণগত মান এক নয়। তাই ভালো পার্লারে গিয়েই কান ফোঁড়ানো উচিত। এরপর বিশেষ যত্ন নিতে হয়। এতে তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাবে।
- কান ফোঁড়ানোর পর কিছুদিন টানা অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। ক্রিম ব্যবহারের আগে কুসুম গরম পানিতে সামান্য লবণ দিয়ে কানের ওই স্থান ভালো করে পরিস্কার করে নিতে হবে। এরপর সেখানে ক্রিম ব্যবহার করতে হবে।
- মুখ ধোয়া এবং গোসল করার সময় সতর্ক থাকতে হবে। যেন সেখানে টান না লাগে। এমনকি কানের ওই অংশে বেশি পানি দিলে ভেজানো যাবে না।
- অ্যালকোহল-যুক্ত সলিউশন বা লিকুইড সাবান দিয়ে ছিদ্র করা স্থানটি পরিষ্কার করে নিন।
- কানের লতির ফুঁটো শুকাতে প্রায় দুই থেকে তিন মাস সময় লাগে। তাই ধৈর্য্য ধরুন। সঙ্গে সঙ্গেই দুল পাল্টে নিতে যাবেন না। ঘন ঘন দুল পাল্টাবেনও না। কমপক্ষে দুই মাস অপেক্ষা করুন। এরপর রিং জাতীয় দুল পরুন। এটি মাঝে মাঝে ঘুড়িয়ে নিন। এতে কানের ফুটো স্মুথ হবে।
- ঘুমের সময়ও সতর্ক থাকুন। কানে যেন আঘাত না লাগে খেয়াল রাখুন। প্রথম অবস্থায় কাত হয়ে না শোয়াই ভালো।
- খাওয়া দাওয়ায় সতর্ক থাকতে হবে। যাদের অ্যালার্জি রয়েছে তারা সতর্ক থাকবেন। অ্যালার্জিজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। তাছাড়া টকজাতীয় খাবারেও সমস্যা হতে পারে। এতে কান শুকাতে অনেক সময় লাগবে। আবার ইনফেকশনও হতে পারে। তাই এই সময় বিশেষজ্ঞের পরামর্শে খাবার খেতে হবে।








































