সারাদেশে পালিত হচ্ছে সনাতন ধর্মাম্বলীর জন্মাষ্টমী উৎসব। হিন্দু ধর্মাম্বলীর বিশ্বাস অনুযায়ী, ৫,২০০ বছর আগে এই দিনে মথুরায় জন্ম নেন অন্যতম দেবতা শ্রীকৃষ্ণ। দুষ্টের দমন এবং শিষ্টের পালনের জন্যই তিনি মানুষরূপে পৃথিবীতে আসেন। ভগবান শ্রী বিষ্ণুরই আরও একটি রূপ হচ্ছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ।
জন্মাষ্টমীর এই দিনে ঘরে ঘরে একে অপরকে মিষ্টি মুখ করান, শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়ে উৎসব আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন। জন্মাষ্টমী উৎসব পালনের বিশেষ ৭টি তথ্য জানাব এই আয়োজনে_
- ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিকেই ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্ম দিবস মানা হয়। এই উপলক্ষেই পালন হয় জন্মাষ্টমী।
- হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী, এক বর্ষণমুখর রাতে কারাগারে জন্ম হয় ভগবান শ্রীকৃষ্ণের। তার জন্মের পরই জেলের গরাদ নিজে থেকেই খুলে যায় এবং মামা কংসের হাত থেকে ছোট্ট কৃষ্ণকে রক্ষা করতে বাবা বাসুদেব তাকে নন্দরাজার মন্দিরে রেখে আসেন।
- এই উৎসবকে শ্রীকৃষ্ণ জন্মাষ্টমী, গোকুলাষ্টমী, অষ্টমী রোহিনী এবং শ্রীকৃষ্ণ জয়ন্তী নামেও উদযাপন করা হয়।
- পুণ্যার্থীরা জন্মাষ্টমীর উৎসবে সারাদিন, আবার কেউ সারারাত উপবাস করেন। শ্রীকৃষ্ণের পুঁজা দিয়ে উপবাস ভাঙেন।
- বিভিন্ন মন্দিরে গোপালের পুজা করার সঙ্গে সঙ্গে শ্রীকৃষ্ণের জীবনের নানা ঘটনার কথা শোনানো হয়। পাশাপাশি গীতাপাঠও করা হয়।
- জন্মাষ্টমীর দিন ছাপ্পান্ন ভোগ দেওয়া হয় কৃষ্ণকে। এটা ছাড়া পুজো অসম্পূর্ণ থাকে। পুরাণ মতে, যশোদা বালক কৃষ্ণকে ৮ প্রহর খেতে দিতেন। কিন্তু, একটা সময় ইন্দ্রের রোষে পড়ে মহাপ্রলয়ের সৃষ্টি হয়। সেই সময় প্রাণীদের রক্ষা করতে নিজের কনিষ্ঠ আঙুলে গোবর্ধন পাহাড় তুলে নিয়েছিলেন তিনি। ৭দিন ওইভাবেই ছিলেন। খাবার ও পানি কোনও কিছুই মুখে দেননি। প্রলয় বন্ধ হওয়ার পর সেই পাহাড় নামিয়ে রাখোন। এদিকে যে ছেলে দিনে ৮বার খাবার খেতেন তাকে টানা ৭দিন অনাহারে থাকতে দেখে কেঁদে ফেলেছিলেন যশোদা। তখন ব্রজবাসী-সহ যশোদা ৭দিন ও ৮ প্রহরের হিসেবে কৃষ্ণের জন্য ৫৬টি পদ পরিবেশন করেন। সেই থেকেই ৫৬ ভোগ চলে আসছে।
- এই পুজোতে তালের তৈরি পদও পরিবেশন করতে হয় শ্রীকৃষ্ণকে। তালের বড়া এই পুজোর প্রসাদের মূল আকর্ষণ। এছাড়াও তালের তৈরি আরও পদ দেওয়া হয় শ্রীকৃষ্ণকে।







































