করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের প্রভাবে শেয়ার বাজারের বিনিয়োগকারীরা খুইয়েছেন বিশাল অংক। করোনা ভাইরাসের প্রকোপ কাটিয়ে যখন অর্থনীতির বিভিন্ন দিকে ইতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছিল। ঠিক তখনই করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের প্রভাবে বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।
ওমিক্রনের কারণে বিশ্বজুড়ে শেয়ারবাজারে বিপুল পরিমাণে শেয়ার বিক্রির হিড়িক পড়ে যায়।
সোমবার (২০ ডিসেম্বর) বোম্বে স্টক মার্কেট সেনসেক্সের এক ধাক্কায় ১১৯০ পয়েন্টের পতন হয়। এ পতনের মূল কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা বিশ্ব জুড়ে ওমিক্রনের প্রভাবকেই দুষছেন। গত দুই দিনে এতে বিনিয়োগকারীদের প্রায় ১১.২৩ লাখ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এদিন সেনসেক্সের সূচক কমে দাঁড়ায় ১১৮৯.৭৩ পয়েন্ট বা ২.৯ শতাংশে। এর আগে বাজারের লেনদেন বন্ধের সময় সেনসেক্সের সূচক ছিল ৫৫,৮২২.০১।
তবে শুধু সেনসেক্স নয় একই কারণে পতন দেখেছে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক নিফিটিতেও। লেনদেন শেষের সময় এনএসই নিফটি ৩৭১ পয়েন্ট বা ২.১৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে বিশ্বজুড়ে ওমিক্রনের কারণে উদ্বিগ্ন বিনিয়োগকারীরা। একই কারণে শুধু শেয়ার বাজার নয় জ্বালানি তেলের মূল্যেও পতন হয়েছে।
খ্রিস্ট ধর্মের উৎসব ক্রিসমাস বা বড়দিন পশ্চিমা অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখতে সহায়তা করে। সেখানে শেয়ার বাজারের দরপতন এবং তেলের মূল্য কমে যাওয়া যেন তাদের আশাকে হতাশায় পরিণত করেছে। কারণ গত তিন সপ্তাহের মধ্যে মার্কিন শেয়ার বাজারের সবচেয়ে বড় দরপতন হয় গতকাল (সোমবার)।
ওইদিন সকালে শেয়ারের দরপতনের ফলে সূচক ৪০০ পয়েন্ট বা এক শতাংশ কমে যায়।
অন্যদিকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম প্রতিব্যারেলে ৩ শতাংশ কমে ৭১ ডলারে দাঁড়িয়েছে। বিশ্ব অর্থনীতিতে এখন এই ওমিক্রনের থাবা কিভাবে সামলাবে, সেটাই এখন দেখার পালা।