বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। ২০১৯ সালে ফণী, ২০২০ সালে আমফান ও ২০২১ সালে ইয়াসের পর এটিই এই অঞ্চলে আঘাত হানতে যাওয়া সবচেয়ে বড় মৌসুমি ঝড়।
তবে ভারতের আবহাওয়া অফিস বলছে এটি পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানার চাইতে বাংলাদেশ বা মিয়ানমার উপকূলে আঘাত হানার আশঙ্কাই বেশি। ২৪ ঘণ্টা মধ্যে অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে এই ঝড়।
হিন্দুস্তান টাইমসে খবর বলছে, আগামী ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে বড় ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে অশনি। ঝড়ের প্রভাবে কয়েকটি উপকূলীয় এলাকায় ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮৫ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়ার খবরে জানা গেছে, ইতিমধ্যেই দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে গভীর নিম্নচাপটি। সোমবার (২১ মার্চ) এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।
এই মুহূর্তে আন্দামানের নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমে ১১০ কিলোমিটার, পোর্ট ব্লেয়ারের দক্ষিণে ১৭০ কিলোমিটার এবং মায়ানমারের ইয়াঙ্গনের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে ৮৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি।
এরপর এটি বাংলাদেশ বা মায়ানমার উপকূলের দিকে যাবে। ফলে ভারতের উপকূলীয় এলাকায় তাপমাত্রার তেমন কোন হেরফের হওয়ার আশঙ্কা নেই।
তবে দেশটির আবহাওয়া অফিস বলছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ঝড়ো আবহাওয়া বজায় থাকতে পারে সোমবার থেকেই।