নাগাল্যান্ডে সেনা অভিযানে নিরীহ মানুষ হত্যার ঘটনা ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে ভারতে। কেবল সংবাদ শিরোনামেই নয়, এই ঘটনা উঠে এসেছে সংসদ অধিবেশনে।
নাগাল্যান্ডকাণ্ডের পর লোকসভায় ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সাফাই গেয়েছেন নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষে। তিনি বলেন, “৪ ডিসেম্বর বিকেলে সন্দেহজনক ওই এলাকায় অভিযান চালায় সেনাবাহিনী। সেসময় গ্রামবাসীদের গাড়িটিকে থামতে বলে সেনারা। তবে গাড়িটি ওই জায়গা থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তাই গাড়িতে বিদ্রোহীরা রয়েছে এমন সন্দেহে গুলি চালায় সেনারা। পরে তারা বুঝতে পারেন নিহতরা বিদ্রোহী নন।”
তবে এই ঘটনায় সেনাবাহিনীর ২১ প্যারা স্পেশাল ফোর্সের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে নাগাল্যান্ড পুলিশ। পুলিশের অভিযোগ, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই এলাকাবাসীদের হতাহত করে ওই সেনারা। এমনকি সেনাবাহিনীর সদস্যরা অভিযানে যাওয়ার আগে পুলিশকেও বিষয়টি জানাননি। এনডিটিভির ও হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে উঠে এসেছে এসব তথ্য।
শনিবার বিকেলে (৪ ডিসেম্বর) মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী মন জেলায় বিদ্রোহী দমনে অভিযানে যায় সেনাবাহিনী। ওটিং গ্রামের কাছে অতর্কিত হামলা চালায় তারা।
তবে তিরু-ওটিং সড়কের যে গাড়িকে লক্ষ্য করে সেনারা গুলি চালায়, তাতে তিরুর কয়লাখনির শ্রমিকরা বাড়ি ফিরছিলেন। পুলিশ জানায়, এ সময় গুলিতে ঘটনাস্থলে ছয় গ্রামবাসী ও হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও দুজনের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয়রা নিরাপত্তা বাহিনীকে ঘেরাও করলে তারা ‘আত্মরক্ষায়’ গুলি চালায়। এতে পাঁচ গ্রামবাসী নিহত হয় ও আহত হয় ছয়জন। স্থানীয়দের হামলায় একজন সেনাও নিহত হয়। এছাড়া নিরাপত্তা বাহিনীর তিনটি গাড়িতে আগুন দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা।