ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার আল শিফা হাসপাতালে অভিযান চালানোর পাশাপাশি আরও দুই হাসপাতাল হামলা শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। হাসপাতাল দুটি হচ্ছে গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত আল-আমাল ও নাসের হাসপাতাল।
ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, তীব্র গোলাগুলির কারণে মেডিকেল টিমের সদস্যরা সেখানে আটকা পড়েছেন। অপর দিকে ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা গাজার প্রধান আল শিফা হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে ৪৮০ যোদ্ধাকে আটক করেছে।
ইসরায়েলি সেনাদের দাবি, গাজার হাসপাতালগুলোকে হামাসের যোদ্ধারা তাদের অস্ত্র রাখার ও হামলা চালানোর ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছেন। কিন্তু তাদের এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে আসছে হামাস ও হাসপাতালের চিকিৎসকেরা।
ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, গাজার খান ইউনিসে ব্যাপক বোমাবর্ষণ ও গোলা নিক্ষেপ করছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর মধ্যেই তারা ট্যাংক নিয়ে আল-আমল ও আল–নাসর হাসপাতালে হামলা শুরু করেছে। এতে রেড ক্রিসেন্টের এক কর্মী নিহত হয়েছেন।
রেড ক্রিসেন্টের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ইসরায়েলের সাঁজোয়া বাহিনী আল-আমল হাসপাতাল বন্ধ করে দিয়েছে এবং এর আশপাশে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে। আমাদের কর্মীরা এ মুহূর্তে চরম বিপদের মুখে রয়েছেন। তাদের কোনো কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। ইসরায়েলি সেনারা আল-আমল হাসপাতাল থেকে সবাইকে দ্রুত বেরিয়ে যেতে বলছেন। হাসপাতালের রোগী ও এর বাইরে থাকা আশ্রয়হীন মানুষজনকে লক্ষ্য করে স্মোক বোমা ছোড়া হচ্ছে।”
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, গাজা সিটির আল-শিফা হাসপাতাল থেকে বেশ কয়েকজন রোগী ও চিকিৎসাকর্মীকে ধরে নিয়ে গেছেন ইসরায়েলি সেনারা। গাজায় যুদ্ধের পরিস্থিতিতেও এ হাসপাতালে সীমিতভাবে চিকিৎসা কার্যক্রম চলছিল।
৭ অক্টোবর হামাসের সদস্যরা ইসরায়েলে হামলা চালালে ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন। এ ছাড়া হামাস ২৫৩ জনকে জিম্মি করে। এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি চুক্তি ব্যর্থ হয়েছে। এতে জিম্মি মুক্তি বা গাজায় বেসামরিক লোকজনের জন্য ত্রাণসহায়তা পৌঁছানোর মতো বিষয়গুলো আটকে গেছে।
আপনার মতামত লিখুন :