• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ক্যাম্পাসে ইহুদিবিদ্বেষ বাড়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১০, ২০২৩, ১২:০৪ পিএম
ক্যাম্পাসে ইহুদিবিদ্বেষ বাড়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়ার প্রেসিডেন্ট এলিজাবেথ ম্যাগিল। ছবি: রয়টার্স

ইহুদিবিদ্বেষ ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়ার প্রেসিডেন্ট এলিজাবেথ ম্যাগিল পদত্যাগ করেছেন। ক্যাম্পাসে ইহুদিবিদ্বেষ বাড়ার বিষয়ে মার্কিন কংগ্রেসের শুনানিতে করা মন্তব্যের কারণে তীব্র সমালোচনার মুখে পরেন ম্যাগিল। পরে তিনি শনিবার (৯ ডিসেম্বর) পদত্যাগ করেন।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানায়।

ম্যাগিল স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান স্কট বক। তিনি নিজেও পরবর্তী সময়ে পদত্যাগ করেন। ক্যাম্পাসে ইহুদিবিদ্বেষ বাড়ার বিষয়ে মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের কমিটিতে শুনানি হয়। সেখানে করা মন্তব্যের কারণে ম্যাগিলসহ যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন।

শুনানিতে তাদের কাছে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ইহুদিদের গণহত্যার ডাক দিয়ে আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন কি না জানতে চাওয়া হয়। কিন্তু তারা এ প্রশ্নের সুনির্দিষ্ট উত্তর দেননি। তাদের উত্তর দীর্ঘ ও আইনজীবীর মতো ছিল। ফলে সেগুলো নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়।

৭৪ জন আইনপ্রণেতা ম্যাগিল, হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি এবং ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির প্রেসিডেন্টদের অবিলম্বে অপসারণের দাবি জানিয়ে চিঠি লিখেন। শুনানিতে ম্যাগিলের কার্যকলাপকে পেনসিলভানিয়ার ডেমোক্র্যাট গভর্নর একেবারে লজ্জাজনক বলে অভিহিত করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়টির একজন বড় দাতা ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়ার ওয়ার্টন স্কুল অব বিজনেসকে দেওয়া ১০০ মিলিয়ন ডলারের উপহার প্রত্যাহার করবেন বলে জানান।

এদিকে শুনানিতে রিপাবলিকান কংগ্রেসওম্যান এলিস স্টেফানিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসিডেন্টদের কাছে প্রশ্ন করেন, ইহুদিদের গণহত্যার ডাক বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম বা আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছে কি না। স্টেফানিকের প্রশ্নে সুনির্দিষ্ট কোনো উত্তর দেননি ম্যাগিল। তখন স্টেফানিক জানতে চান, উত্তর ‘হ্যাঁ’ কি ‘না’? জবাবে ম্যাগিল বলেন, বিষয়টি প্রসঙ্গের ওপর নির্ভরশীল।

অন্যদের কাছ থেকেও অনুরূপ উত্তর পেলে রেগে যান স্টেফানিক। বলেন, বিষয়টি প্রসঙ্গের পর নির্ভরশীল নয়। উত্তর হবে ‘হ্যাঁ’। এই উত্তর দিতে না পারার কারণে তাদের পদত্যাগ করা উচিত।

Link copied!