• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

অপ্রতুল ত্রাণ আসার খবর, মর্মাহত ফিলিস্তিনিরা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ২১, ২০২৩, ০৭:৪০ পিএম
অপ্রতুল ত্রাণ আসার খবর, মর্মাহত ফিলিস্তিনিরা
ফাইল ছবি

মর্মাহত ফিলিস্তিনিরা। ১০০ ট্রাক ত্রাণ যাওয়ার কথা থাকলেও গাজায় গেছে মাত্র ২০ ট্রাক ত্রাণ। মিশর ও গাজার রাফা সীমান্ত খুলে দেওয়ার পর ত্রাণবাহী ২০টি ট্রাক গাজায় প্রবেশ করে।

মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে চরম মানবিক বিপর্যয়ের মাঝে প্রাথমিক সহায়তার এই ২০ ট্রাক ত্রাণ সমুদ্রের মাঝে একটি বিন্দু মাত্র। এই ত্রাণ দুর্গত মানুষের মনে ভয়ানক কষ্ট আর আক্ষেপ তৈরি করবে।

জানা যায়, ২০টি ট্রাককে মিশর গেইট ও ফিলিস্তিনি গেইটের মধ্যবর্তী স্থানে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ট্রাকগুলোকে গাজায় জাতিসংঘের গুদামে নিয়ে যাওয়া হবে এবং পরবর্তীতে সেখান থেকে বিতরণ করা হবে গাজা উপত্যকাজুড়ে।

ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের নির্বাহী পরিচালক কিন্ডি ম্যাককেইন ২০ ট্রাক ত্রাণকে স্বাগত জানান তবে এতটুকু যথেষ্ট নয় বলে সতর্ক করেন তিনি।

ম্যাককেইন বলেন, “গাজার পরিস্থিতি ভয়াবহ। খাবার, পানি, বিদ্যুৎ কিচ্ছু নেই। যা পরবর্তীতে আরও বিপর্যয়ের, অনাহারের এবং আরও বহু রোগের কারণ হতে পারে। আমাদের আরও ট্রাক প্রয়োজন।” নিরাপদ এবং টেকসই উপায়ে সঠিক সুবিধাভোগীদের জন্য সাহায্য পৌঁছানো নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ত্রাণবাহী ট্রাকের সংখ্যা নিয়ে হতাশা দেখা গেছে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে। প্রাথমিকভাবে ১০০ ট্রাক ত্রাণ আসার কথা থাকলেও ২০টি ট্রাক আসায় তারা মর্মাহত।

এক ফিলিস্তিনি বলেন, আমরা খাদ্য ও প্রয়োজনীয় মেডিকেল সরঞ্জাম আনাকে স্বাগত জানাই। তবে জ্বালানি সরবরাহ না আসা বেশি উদ্বেগের। প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অভাবে পাঁচটি হাসপাতালে সেবা দেওয়া বন্ধ আছে। জ্বালানি স্বল্পতার কারণে আরও দুটি শিঘ্রই বন্ধ হয়ে যাবে।

প্রথম দফা ত্রাণ পাঠানোর পর জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস বলেন, এটাই যাতে শেষ না হয়।

তিনি বলেন, গাজার মানুষদের কাছে নিয়মিত প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ শুরুর বিষয়ে আমি আত্মবিশ্বাসী।

ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন বলেন, নির্দোষ মানুষের কষ্ট লাঘবে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাথমিক ধাপ।

 

Link copied!