• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৮ ভারতীয়কে মুক্তি দিল কাতার


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৪, ০৯:৪৪ এএম
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৮ ভারতীয়কে মুক্তি দিল কাতার
ভারতে ফিরেছেন কাতার থেকে মুক্তি পাওয়া ৭ ভারতীয়। ছবি: এনডিটিভি

ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ৮ ভারতীয় সাবেক নাবিককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল কাতার। পরে দুই দেশের সরকারের মধ্যে দেনদরবারের ফলে সেই ৮ জনের দণ্ড মওকুফ করে ভারতে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই সিদ্ধান্ত অনুসারে এরই মধ্যে ৮ ভারতীয়কে মুক্তি দিয়েছে কাতার। ৭ জন এরই মধ্যে দেশে ফিরেছেন।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ৮ ভারতীয়র মুক্তি ও ৭ জনের দেশের ফেরার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। দেশে ফেরার আগে, এই ৭ জন কাতারে ১৮ মাস কারাদণ্ড ভোগ করেছেন।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ভারত সরকার কাতারে আটক দাহরা গ্লোবাল কোম্পানিতে কর্মরত ৮ ভারতীয় নাগরিকের মুক্তিকে স্বাগত জানায়। আটজনের মধ্যে সাতজনই ভারতে ফিরে এসেছেন। আমরা কাতারের আমিরের এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করি।’

ওই ৮ ভারতীয় হলেন ক্যাপ্টেন নভোতেজ সিং গিল, ক্যাপ্টেন সৌরভ বশিষ্ট, কমান্ডার পূর্ণেন্দু তিওয়ারি, ক্যাপ্টেন বীরেন্দ্র কুমার ভার্মা, কমান্ডার সুগুনাকর পাকালা, কমান্ডার সঞ্জীব গুপ্ত, কমান্ডার অমিত নাগপাল এবং নাবিক রাগেশ। এই ৮ জন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান দাহরা গ্লোবালে কর্মরত ছিলেন। তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল মূলত ইতালির তৈরি ইউ ২১২ স্টিলথ সাবমেরিন কাতারে নৌবাহিনীর সদস্যদের কাছে পরিচিত করানোর জন্য।

এর আগে, গত বছরের ২৬ অক্টোবর কাতারের আদালত এই ৮ ভারতীয় নাগরিককে মৃত্যুদণ্ড দেয়। তার আগে থেকেই ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে তাঁরা কাতারের কারাগারে বন্দী ছিলেন।

কাতার ভারতীয় নাবিকদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পর প্রতিক্রিয়ায় ভারত সরকার বলেছিল, “মৃত্যুদণ্ডের রায়ে আমরা গভীরভাবে মর্মাহত এবং বিস্তারিত রায়ের কপি হাতে পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি। আমরা সামরিক কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্য ও আইন পরামর্শক দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি এবং আমরা সমস্ত আইনি বিকল্প খুঁজে দেখছি।”

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সে সময় আরও জানিয়েছিল, “আমরা এই মামলাটিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি এবং নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা সব ধরনের কনস্যুলার ও আইনি সহায়তা অব্যাহত রাখব। আমরা এ রায় নিয়ে কাতারের কর্তৃপক্ষের কাছেও যাব।”

Link copied!