• ঢাকা
  • সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

পুতিনের ৭ বিরোধী এবং তাদের পরিণতি


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ২৪, ২০২৩, ০৩:৩২ পিএম
পুতিনের ৭ বিরোধী এবং তাদের পরিণতি
ছবি: সংগৃহীত

বুধবার (২৩ আগস্ট) রাতে রাশিয়ায় এক উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে ভাড়াটে সেনা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ভাগনারের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোশিন (৬২) নিহত হয়েছেন বলে জানায় রুশ গণমাধ্যম। এর আগে গত জুনে প্রিগোশিন রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে এক ব্যর্থ অভ্যুত্থান পরিচালনা করেন। এ রকমই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গিয়ে একাধিক ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করেছেন বা মৃত্যুর কাছাকছি গিয়েছেন।

অ্যালেক্সি নাভালিন

রাশিয়ার সবচেয়ে পরিচিত বিরোধীদলীয় নেতা অ্যালেক্সি নাভালিন। সাইবেরিয়াতে বিষাক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য তিনি ২০২০ সালের আগস্টে জার্মানি যান। পশ্চিমা বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা করে বলেছিলেন নাভালিনকে সামরিক নার্ভ এজেন্ট ‘নোভিচক’ প্রয়োগ করা হয়েছিল। রাশিয়া এতে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে। ২০২১ সালে নাভালিন রাশিয়াতে ফিরে যান। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।

সের্গেই স্ক্রিপাল

সাবেক রুশ দ্বৈত এজেন্ট সের্গেই স্ক্রিপাল যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা বিভাগকে গোপন তথ্য পাচার করেছিলেন। পরে তাকে ও তার মেয়ে হুলিয়াকে যুক্তরাজ্যের একটি শপিং সেন্টারের বাইরে বেঞ্চের ওপর অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। যুক্তরাজ্যের কর্মকর্তারা জানান, তাদের নোভিচক প্রয়োগ করা হয়েছিল। এ ক্ষেত্রেও রাশিয়া কোনো প্রকার সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করে।

ভ্লাদিমির কারা-মুর্জা

পুতিনের আরেক বিরোধী ভ্লাদিমির কারা-মুর্জা। তিনি অভিযোগ করেছিলেন ২০১৫ ও ২০১৭ সালে তাকে বিষ প্রয়োগ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। পরে এক জার্মান ল্যাবরেটরি পরীক্ষা করে জানায় তার শরীরে বিপজ্জনক মাত্রায় পারদ, কপার, ম্যাংগানিজ ও জিংক পাওয়া যায়।

আলেক্সান্ডার লিটভিনেনকো

সাবেক কেজিবি সদস্য আলেক্সান্ডার লিটভিনেনকো স্পষ্টভাষী ও পুতিনের সমালোচক ছিলেন। ২০০৬ সালে লন্ডনের মিলেনিয়াম হোটেলে মাত্র ৪৩ বছর বয়সে পোলোনিয়াম-২১০ প্রয়োগে মারা যান। পোলোনিয়াম-২১০ দুর্লভ এক তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ। যুক্তরাজ্যের তদন্তে বলা হয়, পুতিন সম্ভবত এই হত্যাকাণ্ড অনুমোদন করেন। তবে ক্রেমলিন অভিযোগ অস্বীকার করে।

লিটভিনেনকো রাশিয়া থেকে পালিয়ে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছিলেন।

আলেক্সান্ডার পেরেপিলিচনি

আলেক্সান্ডার পেরেপিলিচনি রাশিয়ার মানি-লন্ডারিংয়ের এক তদন্তে সুইজারল্যান্ডকে সহায়তা করে ২০০৯ সালে যুক্তরাজ্যে আশ্রয় প্রার্থনা করেন। ২০১২ সালের নভেম্বরে তাকে তার লন্ডনের বাসার বাইরে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এ ক্ষেত্রেও দুর্লভ বিষ প্রয়োগের অভিযোগ ওঠে।

ভিক্টর ইয়ুশ্চেংকো

ভিক্টর ইয়ুশ্চেংকো ২০০৮ সালে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পশ্চিমা সমর্থনে অংশ নেন। তিনি অভিয়োগ করেন, কিয়েভের বাইরে একদিন দেশটির গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের সঙ্গে রাতের খাবার খাওয়ার সময় বিষাক্রান্ত হন। পরে তার শরীরে স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে ১ হাজার গুণ বেশি ডায়োক্সিন পাওয়া যায়।

আনা পলিটকোভস্কায়া

সাংবাদিক আনা পলিটকোভস্কায়া মানবাধিকার নিয়ে প্রতিবেদন করেছিলেন। পরে ২০০৭ সালে অক্টোবরে মস্কোতে তার বাসার বাইরে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় পশ্চিমা বিশ্বে ব্যাপক হইচই হয়।

Link copied!