• ঢাকা
  • রবিবার, ১২ মে, ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ৪ জ্বিলকদ ১৪৪৫

ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ৭৫১ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০২৩, ১০:০২ এএম
ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ৭৫১ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত
ছবি: সংগৃহীত

ভারতের পাঁচ রাজ্যে চলেছে বিধানসভা নির্বাচন। এর মধ্যে ইডির হাতে ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ৭৫১ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার ঘটনা ঘটেছে। 

মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীসহ আরও অনেক কংগ্রেস নেতার মালিকানাধীন ওই প্রতিষ্ঠানটি। ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্র, প্রকাশনা সংস্থা অ্যাসোসিয়েট জার্নালস লিমিটেড এবং মালিক সংস্থা ইয়ং ইন্ডিয়ার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি ইডির তালিকায় রয়েছে।

২০১৩ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সময়ে জওহরলাল নেহরু প্রতিষ্ঠিত ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্রের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছিলো। পরবর্তীকালে ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর এ বিষয়ে অনেক জলঘোলা হয়।

ন্যাশনাল হেরাল্ড এর মালিকানাধীন ‘অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড’ সংস্থাটির বাজারে ৯০ কোটি রুপি ঋণ ছিল বলে অভিযোগ করেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। যার বেশিরভাগই কংগ্রেসের থেকে নেওয়া।

প্রতিবেদন অনুসারে, ২০০৮ সালে সংবাদপত্রটির প্রকাশনা বন্ধ হয়ে গেলে, সোনিয়া, রাহুল ও কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের মালিকানাধীন ‘ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড’ সংস্থা পত্রিকাটি অধিগ্রহণ করে। ফলে পত্রিকাটির কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি সংস্থাটির দখলে চলে যায়। সাথে ৯০ কোটি রুপির ঋণও তাদের ওপর এসে পরে। এর কিছুদিন পর “দেনার টাকা উদ্ধার করা সম্ভব নয়” বলে কারণ দেখিয়ে ঋণ মওকুফ করে দেওয়া হয়।

ঋণ মওকুফ করাতেই আপত্তি তোলেন বিজেপি নেতা। তার মতে, কংগ্রেস একটি রাজনৈতিক দল। তাদের কোনো কর দিতে হয় না। কোনো বাণিজ্যিক সংস্থাকে ঋণ দেওয়ার অধিকারও তাদের নেই।

২০১৫ সালের শুরুতে, এই মালিকানা হস্তান্তরে বেআইনিভাবে কোনো লেনদেন হয়েছিল কি না, তার তদন্তের জন্য ইডিকে নির্দেশ দিয়েছিল দিল্লির মেট্রোপলিটন আদালত। পাশাপাশি আইটিও’র দপ্তর থেকে কোনো পত্রিকা প্রকাশিত হয় না যুক্তি দিয়ে এজেএলকে দপ্তর খালি করতে বলেছিল নরেন্দ্র মোদি সরকার। ২০২২ সালে হাইকোর্টও এই সিদ্ধান্তে সম্মতি দিয়েছিলেন।

এদিকে কংগ্রেস নেতারা পাল্টা দাবি করেন, ইয়ং ইন্ডিয়া অলাভজনক সংস্থা। যার কারণে তারা কোনো মালিককে মুনাফার ভাগ দিতে পারে না। কোনো সম্পত্তির হাতবদল বা আর্থিক লেনদেনও হয়নি।

মূলত প্রথম দফার তদন্তের পর ইডি কংগ্রেসের দাবিকে মেনে মামলাটি বন্ধ করে দেওয়ার সুপারিশ করেছিল। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত খারিজ করে তড়িঘড়ি ইডির তৎকালীন কর্মকর্তা রাজন কাটোচকে সরিয়ে দিয়েছিল মোদি সরকার।

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর

Link copied!