• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

রোজা না রাখলে গ্রেপ্তার করছে পুলিশ


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ১৪, ২০২৪, ১২:০৬ পিএম
রোজা না রাখলে গ্রেপ্তার করছে পুলিশ
নাইজেরিয়ার একটি বাজারে। ছবি : সংগৃহীত

পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়ে গেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মুসলিমরা এই সময় রোজা পালন করেন। কিন্তু সম্প্রতি এমন একটি দেশের খবর মিলেছে, যেখানে রোজা পালন না করলে প্রশাসনের রোষের মুখে পড়তে হচ্ছে। ঘটনাটি ঘটেছে নাইজেরিয়ায়। ইতিমধ্যে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে নাইজেরিয়া পুলিশ।

আফ্রিকার এই দেশটির একটি প্রদেশে রোজার মাসে দিনের বেলা খাবার খেতে দেখার পর তাদের গ্রেপ্তা্র করা হয়। বুধবার (১২ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নাইজেরিয়া ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হলেও এখানকার ১২ প্রদেশে শরিয়া আইন চালু করা হয়। এই ১২ প্রদেশে মোট জনসংখ্যার মধ্যে মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকই সংখ্যাগরিষ্ঠ। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এসব প্রদেশের মধ্যে একটি হলো কানো। আর এখানকার ইসলামিক পুলিশ ‘হিসবাহ’ নামে পরিচিত এবং প্রতিবছর রমজান মাসে তারা খাবারের দোকান এবং বাজারে তল্লাশি চালিয়ে থাকে।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) গ্রেপ্তার ১১ জনের মধ্যে ১০ জন পুরুষ ও একজন নারী। গ্রেপ্তারের পর তারা রোজা রাখার শর্তে মুক্তি পান।

হিসবাহের মুখপাত্র লওয়াল ফাগে বিবিসিকে বলেছেন, “আমরা মঙ্গলবার (১২ মার্চ) ১১ জনকে পেয়েছিলাম, যার মধ্যে একজন নারীও ছিলেন, যিনি চিনাবাদাম বিক্রি করছিলেন এবং তাকে তার জিনিসপত্র থেকে খেতে দেখা গেছে এবং পরে কিছু লোক আমাদের এই বিষয়টি জানায়।”

তিনি বলেন, অনুসন্ধান ও তল্লাশি অভিযান অব্যাহত থাকবে। তবে অমুসলিমরা এই অভিযানের আওতার বাইরে।

লওয়াল ফাগে বলছেন, “আমরা অমুসলিমদের গ্রেপ্তার করি না। কারণ, এটি (রোজা) তাদের পালন করার বিষয় নয়। শুধু একটি অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত হলেই আমরা অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করি। আর তা হচ্ছে, যাদের রোজা রাখার কথা, সেসব মুসলমানের কাছে বিক্রি করার জন্য যারা খাবার রান্না করে।

যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তাদের সম্পর্কে ইসলামিক পুলিশের এই মুখপাত্র বলেন, “তারা এখন থেকে রোজা রাখা শুরুর প্রতিশ্রুতি দিয়ে মুক্তি পেয়েছে এবং ‘তাদের মধ্যে কারও কারও পরিবার যেন তাদের পর্যবেক্ষণ করে, সে জন্য আমাদের তাদের আত্মীয় বা অভিভাবকদেরও ডাকতে হয়েছিল।”

Link copied!