• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০১ মে, ২০২৫, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২, ৩ জ্বিলকদ ১৪৪৬

প্রাণের আল আকসায় শবে মেরাজ পালন করলেন ফিলিস্তিনিরা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৮, ২০২৫, ১০:০৬ এএম
প্রাণের আল আকসায় শবে মেরাজ পালন করলেন ফিলিস্তিনিরা
ছবি : সংগৃহীত

পবিত্র লাইলাতুল মিরাজ বা শবে মিরাজ পালিত হয়েছে সোমবার। ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা ইবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে এ রাত কাটিয়ে দেন। গাজায় ১৫ মাস ধরে চলা ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অবরুদ্ধ উপত্যকাটি দৃশ্যত বিরান ভূমিতে পরিণত হয়েছে। যুদ্ধবিরতির কার্যকরের পর ফিরে প্রাণের আল আকসায় শবে মিরাজ পালন করলেন তারা।

ইসলামের ইতিহাস অনুযায়ী, হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর নবুওয়াতের দশম বছরে বা ৬২১ খ্রিষ্টাব্দের এক রাতে তিনি কাবা শরিফ থেকে জেরুজালেমে অবস্থিত ‘বায়তুল মুকাদ্দাস’ বা আল-আকসা মসজিদে গমন করে নবীদের জামায়াতে ইমামতি করেন।

রৌদ্রজ্জ্বোল আবহাওয়া ফিলিস্তিনের মসজিদুল আকসায় আসতে উৎসাহিত করেছে


মসজিদুল আকসায় কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি জোহর নামাজ আদায় করেছেন। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) তারা আল আকসায় জোহর নামাজ আদায় করেন। এদিন তার আল আকসার প্রশস্ত প্রাঙ্গণে মেরাজের স্মরণে আলোচনা সভা করেছেন।

মসজিদে ভেতরে মুসল্লিদের উপস্থিতিতে ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও ইমামরা অংশ নিয়েছেন। প্রতিবছর রজব মাসের ২৭ তারিখকে মেরাজের ঘটনা স্মরণ করার জন্য নির্ধারণ করেছে ফিলিস্তিনের ফতোয়া বোর্ড। এই সময় অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের পক্ষ থেকে মসজিদুল আকাসায় হামলা করা হয় না।


এ সময় জেরুজালেম, ও আশপাশ থেকে আাসা পরিবারগুলো মসজিদের সীমানার বাইরে মূল প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখেন, শিশুরা খেলায় মেতে ওঠে।

 

ইসরা বলা হয়, ইসলামের নবী মুহাম্মদ সা.-এর মক্কা থেকে মসজিদুল আকসার সফরকে। আর মেরাজ বলা হয়, বায়তুল মুকাদ্দাস থেকে সাত আসমান পর্যন্ত রাসূল সা.-এর ঊর্ধ্বলোকের ভ্রমণকে। মেরাজের ঘটনা হিজরতের আগে সংঘটিত হয়েছিল। তবে এর সঠিক তারিখ নিয়ে আলেমদের মাঝে মতানৈক্য রয়েছে।

শবে মেরাজ উপলক্ষে ফিলিস্তিনে সরকারি ছুটি পালন করা হয়।

কুব্বাতুস সাখরা থেকে রাসূল সা. ঊর্ধ্ব ভ্রমণ শুরু করেছিলেন বলে ধারণা করা হয়।

সোমবার মেরাজের স্মরণে আল আকসা প্রাঙ্গণে উপস্থিত হয়েছিলেন ফিলিস্তিনিরা। খেলায় মেতে উঠেছে শিশুরা।

Link copied!