উত্তর গাজার পর এবার দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহর খালি করতে নির্দেশ দিয়েছেন ইসরায়েলি সেনারা। রোববার (১৯ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
বিবিসির তথ্যমতে, গাজার উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েলি সেনাদের হামলা শুরুর পর থেকে কয়েক লাখ মানুষ দক্ষিণ গাজায় আশ্রয় নিয়েছেন। তবে দক্ষিণ গাজা এতদিন সাধারণ ফিলিস্তিনিদের কাছে নিরাপদ জায়গা হলেও দ্রুত ইসরায়েলি অভিযান শুরু হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ সেখানে আশ্রয় নেওয়া ফিলিস্তিনি নাগরিকদের খান ইউনিস ত্যাগ করার নির্দেশনা দিয়েছে ইসরায়েল।
হামাসকে একেবারে নির্মূল করাই ইসরায়েলের প্রধান উদ্দেশ্য। গত ৭ অক্টোবর হামাসের অতর্কিত হামলায় এক হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি নাগরিক নিহত হন। এর জবাবে গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। দফায় দফায় হামলায় এখন পর্যন্ত ১২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে ৫ হাজারের বেশি শিশু রয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
সবশেষ শনিবার (১৮ নভেম্বর) খান ইউনিসে একটি বাড়িতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ২৬ জন নিহত হয়েছেন। তবে ইসরায়েল এ হামলার বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।
খান ইউনিসে লিফলেট বিতরণ করে সেখান থেকে মানুষজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর একজন উপদেষ্টা মার্ক রেজেভ বলেন, “বেসামরিক লোকজন নিহত হোক, আমরা তা চাই না। তাই সাধারণ লোকদের অন্যত্র চলে যেতে বলছি।”
মার্ক রেজেভ আরও বলেন, “মাটির নিচে থাকা টানেলে হামাসের সদস্যরা লুকিয়ে আছেন। তাদের নির্মূল করতে শহরটির দিকে অগ্রসর হওয়ার দরকার হতে পারে ইসরায়েলি সেনাদের।”