উত্তর কোরিয়া স্বল্পপাল্লার দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড় যৌথ সামরিক মহড়ার মধ্যেই তিন দিনের ব্যবধানে দ্বিতীয় দফায় ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করল তারা।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) দেশটির পূর্ব উপকূল থেকে সাগরে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী উত্তর কোরিয়ার এই কর্মকাণ্ডের ‘কঠোর নিন্দা’ করেছে। এছাড়া বারবার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণকে এই অঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ গুরুতর উস্কানি এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলেশনের লঙ্ঘন বলেও অভিহিত করেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়া দক্ষিণ হোয়াংহাই প্রদেশ থেকে মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে এ ক্ষেপণাস্ত্র দুটি উৎক্ষেপণ করে। ক্ষেপণাস্ত্র দুটির পথ পরিক্রমা ছিল প্রায় ৩৮৫ মাইল বা ৬২০ কিলোমিটার।
দক্ষিণ কোরিয়া সেনাবাহিনীর জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ (জেসিএস) জানায়, “আমাদের সামরিক বাহিনী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার মাধ্যমে নজরদারি এবং সতর্কতা জোরদার করেছে।”
অন্যদিকে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেছেন, জাপান (উত্তর কোরিয়ার নিক্ষেপ করা) ক্ষেপণাস্ত্রের তথ্য সংগ্রহ করছে। এছাড়া এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের জেরে জাপান তার দেশের মধ্যে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি-না তাও ক্ষতিয়ে দেখছে।
এর আগে রোববার সন্ধ্যায় দক্ষিণ কোরিয়া জানিয়েছে, তারা সাবমেরিন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ শনাক্ত করেছে। পরদিন উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, সাবমেরিন থেকে দুটি কৌশলগত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে তারা।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ক্রমবর্ধমান ভাবে দ্রুতগতিতে আন্তঃমহাদেশীয় এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে উত্তর কোরিয়া। এর মধ্যে কেবল গত বছরই ৬০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটি। যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে সামরিক মহড়াকে উত্তর কোরিয়া তাদের ওপর আক্রমণের মহড়া হিসাবে দেখে থাকে। আর তাই নিজের আত্মরক্ষার জন্য এই পারমাণবিক অস্ত্র এবং ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি উত্তর কোরিয়ার জন্য প্রয়োজনীয় বলে যুক্তি দিয়ে থাকে পিয়ংইয়ং।
আপনার মতামত লিখুন :