ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির পক্ষে মত দিয়েছেন ইসরায়েলের ৫৪ শতাংশ জনগণ। সম্প্রতি এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি।
সাত দিনের যুদ্ধবিরতি শেষে শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) গাজায় আবার দ্বিতীয় দফায় আগ্রাসন শুরু করেছে ইসরায়েলি সেনারা। এ অভিযান শুরু করার পর তাৎক্ষণিকভাবে একটি জনমত জরিপ চালায় ইসরায়েলের থিঙ্কট্যাংক সংস্থা লাজার ইনস্টিটিউট।
সংস্থাটির জরিপ থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, হামাসের কাছ থেকে বন্দীদের ফিরিয়ে আনতে ইসরায়েলের ৫৪ শতাংশ নাগরিক যুদ্ধবিরতি চায়। তবে অভিযান চলমান অবস্থায় বন্দীদের মুক্তির পক্ষে রয়েছে ২৫ শতাংশ নাগরিক। বাকি ২১ শতাংশ নাগরিক এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে ইচ্ছুক না।
শুক্রবার ইসরায়েলি দৈনিক মারিভ এ জরিপের ফলাফল প্রকাশ করে।
গত ৭ই অক্টোবর থেকে টানা দেড় মাসের বেশি সময় ধরে চলমান যুদ্ধে গত ২৪ নভেম্বর থেকে সাময়িক যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। সাত দিনের বিরতির পর শুক্রবার দ্বিতীয় দফায় চালানো হামলায় গাজার ১৮৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, গাজা থেকে ইসরায়েলে রকেট হামলা করা হয়। ক্ষেপণাস্ত্র সুরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে সেই রকেট আঘাত হানার আগেই তা ধ্বংস করে ফেলতে সক্ষম হয়েছে তারা।
এ ঘটনার পর তাৎক্ষণিক এক বিবৃতিতে গাজায় ফের অভিযান শুরু করার ঘোষণা দেয় আইডিএফ। উপত্যকার অন্তত ১০০টি স্থানে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী বোমা হামলা চালিয়েছে বলে জানায় গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের অতর্কিত হামলার জবাবে ইসরায়েল হামলা চালায়। যুদ্ধের প্রথম দিকে গাজায় ধারাবাহিকভাবে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। পরে ১৬ নভেম্বর তারা স্থল অভিযান শুরু করে।
টানা দেড় মাসের বেশি এ ইসরায়েলি আগ্রাসনে ১৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা ১০ হাজারেরও বেশি।
অন্যদিকে, হামাসের হামলায় ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিক নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ।