• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৮ জ্বিলকদ ১৪৪৫

মিয়ানমারে হারানো শহর পুনর্দখলে ব্যাপক হামলা জান্তার


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ৩০, ২০২৩, ০৯:২২ এএম
মিয়ানমারে হারানো শহর পুনর্দখলে ব্যাপক হামলা জান্তার
মিয়ানমারে হারানো শহর পুনর্দখলে ব্যাপক হামলা জান্তার। ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমারে আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণ থেকে রাখাইন রাজ্যের পাউকতা শহরকে মুক্ত করতে ব্যাপক হামলা শুরু করেছে জান্তা সরকার। তারা একসঙ্গে বোমা ও বিমান হামলা চালাচ্ছে।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) আরাকান আর্মি ও স্থানীয়দের বরাতে এএফপি এ তথ্য জানায়।

গত ১৫ নভেম্বর রাখাইন রাজ্যের এ শহরটি দখলে নিয়ে নেয় আরাকান আর্মি। এ ছাড়া জান্তা সরকার মিয়ানমারের অনেক রাজ্যের দখল হারায়। মিয়ানমারের তিন দলীয় জোট ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স চীন সীমান্ত ফটকও তাদের দখলে নিয়ে নেয়। যা জান্তা সরকারের জন্য একটি বড় ধাক্কা ছিল। যার কারণে ওই পথ দিয়ে বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যায়। সেই সঙ্গে ৩ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়ে।

রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিত্তের পার্শ্ববর্তী গভীর সমুদ্রবন্দরের পাশে অবস্থিত এ শহরটি অন্যতম যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। শহরটির ভেতরে ও বাইরে ব্যাপক লড়াই চলছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

নাম না প্রকাশের শর্তে এক ব্যক্তি এএফপিকে বলেন, “জান্তা বাহিনী পাউকতা শহরে অবিরাম ভারী অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।” 

শহরটির কাছেই একটি গ্রামে আশ্রয় নেওয়া এক বাসিন্দা বলেন, “আজ যুদ্ধবিমান থেকে দুটি বোমা ফেলা হয়েছে। সেখানে এখনো আগুন জ্বলছে।”

দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে পাউকতাতে লড়াই চলছে। সিত্তের চারপাশের ঘাঁটি থেকে পাউকতায় গোলাবর্ষণ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার এক বাসিন্দা।

আরাকান আর্মির টেলিগ্রাম চ্যানেলে পোস্ট করা একটি ফুটেজে দেখা যায়, পাউকতা থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলি উঠছে। সেখান থেকে বন্দুকের গুলির শব্দও শোনা যাচ্ছে। তারা আটকে পড়া সাধারণ মানুষদের এখনো উদ্ধার করছে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) জান্তার মুখপাত্র জ মিন সামরিক বাহিনীর এ লড়াইয়ের কথা স্বীকার করলেও সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি। এদিকে অনেক বছর ধরে আরাকান আর্মি রাজ্যটিতে স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে থেমে থেমে লড়াই করে যাচ্ছে।

২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা গ্রহণের পর মিয়ানমারের জান্তা এখন বেশ কঠিন সময় পার করছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত শিশুসহ প্রায় ২০০ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।

Link copied!