• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

লণ্ডভণ্ড দুবাই এয়ারপোর্ট, বিপাকে বাংলাদেশিরা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৯, ২০২৪, ০৭:৩২ পিএম
লণ্ডভণ্ড দুবাই এয়ারপোর্ট, বিপাকে বাংলাদেশিরা

সংযুক্ত আরব আমিরাতের চোখ ধাঁধানো দুবাই শহরে নজিরবিহীন বৃষ্টিপাতের পর লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে দেশটির আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। গত মঙ্গলবারের (১৬ এপ্রিল) এই ঘটনায় প্রায় অচল হয়ে পড়েছে বিমানবন্দরটি। বাতিল হয়েছে শত শত ফ্লাইট। এতে বিপাকে পড়েছেন বিমানযাত্রীরা। এর মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর যাত্রী অনেক। যাদের সঙ্গে বিপাকে পড়েছে বাংলাদেশিরা।

দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এক মুখপাত্র বলেছেন, “বৃষ্টির কারণে পানি জমে যাওয়ায় ফ্লাইট বিলম্ব হচ্ছে এবং বিমানবন্দরগামী উড়োজাহাজ অবতরণ করতে পারছে না। আমরা এই কঠিন পরিস্থিতিতে যতটা দ্রুত সম্ভব বিমানবন্দরের কাজকর্ম শুরুর চেষ্টা করছি।”

এদিকে বৃষ্টির কারণে ফ্লাইট বিলম্ব হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন অনেক বাংলাদেশি যাত্রী। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের বিমানবন্দরে আটকে পড়ার বিষয়টি শেয়ার করেছেন। তাদের শেয়ার করা মন্তব্য নিয়ে একটি প্রতিবেদন করেছে বার্তা সংস্থা বিবিসি বাংলা।

বিবিসির ওই প্রতিবেদনে জানা যায়, ঢাকার বাসিন্দা প্রসূন রায় গত তিন ধরে দুবাই বিমানবন্দরে আটকে আছেন। কবে ঢাকায় আসতে পারবেন সেটি নিয়ে অনিশ্চয়তা ভর করেছে তার মধ্যে।

প্রসূন রায় লিখেছেন, বাংলাদেশ সময় বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত আটবার তার ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। ফ্লাইট কখন ছেড়ে যাবে সেটির কোনো নিশ্চয়তা পাওয়া যাচ্ছে না।

দুবাই থেকে মঙ্গলবার বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ফ্লাইট ছিল প্রসূন রায়ের। কিন্তু তিনি বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ফ্লাইটে উঠতে পারেননি।

মঙ্গলবার দুপুরে বিমানবন্দরে যাবার পর তিনি ১৫ ঘণ্টা অপেক্ষা করেছেন। ফ্লাইটের কোনো নিশ্চয়তা না পেয়ে এন্ট্রি ভিসা নিয়ে তিনি শহরের ভেতরে গেছেন। কারণ, এয়ারপোর্টের ভেতরে কোনো হোটেলে কক্ষ খালি নেই।

তার বর্ণনা অনুযায়ী, হাজার হাজার যাত্রী দুবাই এয়ারপোর্টের ভেতরে আটকা পড়ে আছে। অনেকে স্লোগান দিচ্ছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ রাত-দিন কাজ করেও কূলকিনারা করতে পারছে না।

তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে বাংলাদেশি ব্যবসায়ী আকিব ইরফানের। তার স্ত্রী দুবাই থেকে ঢাকা আসার কথা ছিল। একদিন অপেক্ষা করার পর শেষ পর্যন্ত তিনি ঢাকার উদ্দেশে বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইটে উঠতে পেরেছেন।

তিনি জানিয়েছেন, ফ্লাইট কনফার্ম না হলে কাউকে বিমানবন্দরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। কারণ, ভেতরে যাত্রীদের এতো বেশি চাপ তৈরি হয়েছে যে আর যাত্রী ভেতরে নেওয়া সম্ভব ছিল না।

শুধু বাংলাদেশি যাত্রী নয়, দুবাই বিমানবন্দরে অন্য অনেক দেশের যাত্রীরা। ব্রিটিশ টুরিস্ট অ্যান উইং, তার স্বামী ও তিন সন্তান বিমান বন্দরে আটকে পড়োছেন। তারা লন্ডনের হিথ্রোতে যাবার জন্য অপেক্ষা করছেন।

অ্যান উইং লিখেছেন, “এটা খুব ভয়াবহ পরিস্থিতি। আমদের পশুর মতো করে রাখা হয়েছে। এটা খুবই অমানবিক।” তিনি আরও বলেছেন, তার পরিবারের সদস্যদের কাছে কোনো খাবার নেই।

এদিকে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, আটকে পড়া যাত্রীদের জন্য বিমানবন্দরে খাবার আনতে কর্মীরা হিমশিম খাচ্ছেন। কারণ, বিমানবন্দর অভিমুখে সবগুলো সবগুলো সড়ক পানিতে ডুবে গেছে।

Link copied!