ভারতীয় বংশোদ্ভূত থারমান শানমুগারত্নম (৬৬) প্রেসিডেন্ট হিসাবে বেছে নিলো সিঙ্গাপুর। দেশটির সাবেক এই উপপ্রধানমন্ত্রী অর্থনীতিবিদ থারমান রাজনৈতিক দল পিপলস অ্যাকশন পার্টির (পিএপি) সাবেক নেতা। শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) সিঙ্গাপুরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হয়। দেশটিতে এক যুগের বেশি সময় পর প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন হয়েছে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি।
সিঙ্গাপুরের নির্বাচন বিভাগ জানিয়েছে, ৭০ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট গণনা শেষে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থীকে হারিয়ে অর্থনীতিবিদ থারমান শানমুগারত্নম জয়ী হয়েছেন। নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা তান মেং দুই বলেন, “আমি থারমান শানমুগারত্নম সিঙ্গাপুরের প্রেসিডেন্ট পদে বিজয়ী ঘোষণা করছি।”
থারমান সিঙ্গাপুরের নবম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেবেন। তিনি দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট হালিমা ইয়াকুবের স্থলাভিষিক্ত হবেন। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে ক্ষমতায় এসে ৬ বছর এই পদে ছিলেন হালিমা ইয়াকুব।
নির্বাচনের ফল ঘোষণার আগে এক বক্তৃতায় শানমুগারত্নম বলেছিলেন, “আমি বিশ্বাস করি যে এটি সিঙ্গাপুরের আস্থার ভোট। এটি ভবিষ্যতের জন্য আশাবাদের ভোট, যেখানে আমরা একসাথে এগিয়ে যেতে পারবো।”
সিঙ্গাপুরে প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য বেশ কঠিন কিছু শর্ত রয়েছে। তবে পদটি অনেকটা আলঙ্করিক। প্রেসিডেন্ট আনুষ্ঠানিকভাবে দেশটির পুঞ্জীভূত আর্থিক রিজার্ভ দেখভাল করেন, সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন এবং দুর্নীতিবিরোধী তদন্ত অনুমোদন করেন।
সিঙ্গাপুরের সংবিধান মতে, প্রেসিডেন্ট হচ্ছে নির্দলীয় একটি পদ। দেশটির সাবেক অর্থমন্ত্রী থারমান শানমুগারত্নম রাষ্ট্রপতির নির্দলীয় পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য পদত্যাগ করার আগে দীর্ঘদিন ধরে পিএপির একজন নেতা ছিলেন।
এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে থারমান শানমুগারত্নমের সঙ্গে দুজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। দেশটির সার্বভৌম সম্পদ তহবিল জিআইসির সাবেক বিনিয়োগ কর্মকর্তা এনজি কোক সং (৭৫) এবং বিমাপ্রতিষ্ঠান এটিইউসি ইনকামের সাবেক প্রধান নির্বাহী তান কিন লিয়ান (৭৫)।