• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২০ মুহররম ১৪৪৫

ডিউটি শেষ হওয়ার কথা বলে মাঝপথে ট্রেন ফেলে গেলেন চালক


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১, ২০২৩, ০৭:২৩ পিএম
ডিউটি শেষ হওয়ার কথা বলে মাঝপথে ট্রেন ফেলে গেলেন চালক
মাঝপথে ট্রেন ফেলে চলে গিয়েছেন দুই ট্রেনের চালক। প্রতীকী ছবি

ডিউটির সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় প্রায় আড়াই হাজার যাত্রী ফেলে চলে গিয়েছিলেন ভারতের দুই ট্রেনের চালক। দুটি ট্রেনের একটির চালকের দাবি, তার ডিউটি টাইম শেষ তাই তিনি আর ট্রেন চালাবেন না। অপর ট্রেনের চালকের দাবি তিনি অসুস্থ।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) দেশটির উত্তর প্রদেশ রাজ্যে এ ঘটনা ঘটেছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চালকেরা ট্রেন চালাতে অস্বীকৃতি জানালে দুটি ট্রেনই আটকা পড়ে উত্তর প্রদেশে বড়বাঁকি জেলার বুঢ়ওয়াল জংশনে।

ট্রেন দুটি হলো—সহরস-নয়া দিল্লি ছাঁট পূজা স্পেশাল ট্রেন ও বারুয়ানি-লক্ষ্ণৌ এক্সপ্রেস। কয়েক ঘণ্টা পর অবশ্য অন্য জংশন থেকে চালক আনিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।

ভারতের নর্থ-ইস্টার্ন রেলওয়ের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সহরস-নয়া দিল্লি ছাঁট পূজা স্পেশাল ট্রেনটির বিহার রাজ্যের সহরস স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল ২৭ নভেম্বর রাত ৭টা ১৫ মিনিটে। কিন্তু বুঢ়ওয়াল জংশনে দেরির কারণে ট্রেনটি প্রায় একদিন পর ২৮ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৯টায় ছেড়ে যায়। ট্রেনটি প্রায় ১৯ ঘণ্টা দেরিতে উত্তর প্রদেশের গোরখপুর স্টেশনে পৌঁছে।

অপর ট্রেনটি অর্থাৎ বারুয়ানি-লক্ষ্ণৌ এক্সপ্রেসেরও বুঢ়ওয়াল জংশনে বিরতি দেওয়ার কথা না থাকলেও সেটি সেখানে থেমে পড়ে। এই ট্রেনটিও প্রায় সাড়ে ৫ ঘণ্টা দেরিতে ছাড়ে এবং সেখানে গিয়ে যাত্রীরা দেখতে পান ট্রেনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ট্রেন ছেড়ে চলে যাচ্ছেন।

ট্রেনের এক যাত্রী বলেন, “ভারতীয় রেলের তরফ থেকে আমাদের মতো গরিব যাত্রীদের ওপার এটা বিশেষ অত্যাচার। পানি নেই, খাবার নেই, বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। ঘুমের কথা বলে চালক ও ট্রেনের গার্ড দুই জনেই ট্রেন থেকে নেমে চলে গেছেন।”

এক রেল আধিকারিক জানান, “ট্রেনের এক লোকো পাইলট অস্বস্তি বোধ করছেন দাবি করে ট্রেন ছেড়ে চলে যান। যেহেতু যাত্রীদের নিরাপত্তা অগ্রাধিকার, নতুন করে গোন্ডা জংশন থেকে কর্মীকে ডাকা হয়। এরপর বিকাল ৫টা ৪২ মিনিট নাগাদ লখনৌয়ের উদ্দেশে ট্রেন ছাড়ে।” 

Link copied!