• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২, ২০ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬
যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংক কাণ্ড

জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ বাইডেনের


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ১৩, ২০২৩, ০৪:৪৮ পিএম
জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ বাইডেনের

সিলিকন ভ্যালি ও সিগনেচার ব্যাংকের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। পাশাপাশি জানিয়েছে, সব গ্রাহক তাদের অর্থ ফেরত পাবেন।

সোমবার (১৩ মার্চ) মার্কিন সম্প্রচার মাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকরা যেন তাদের সঞ্চিত অর্থ ফিরে পান সেজন্য অর্থমন্ত্রী জানেত ইয়েলেন এবং অর্থ উপদেষ্টা লায়েল ব্রেইনার্ড রোববার জো বাইডেনের দেওয়া নির্দেশ অনুযায়ী অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রকদের সঙ্গে কথাও বলেছেন।

এক বিবৃতিতে বাইডেন জানিয়েছেন, “আমি খুশি তারা একটি সমাধানে পৌঁছেছে। যা আমেরিকানদের ক্ষুদ্র ব্যবসা ও অর্থ রক্ষা করবে। আমাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা নিরাপদ রাখবে। এই সমাধান আরও নিশ্চিত করেছে করদাতারা অর্থ ঝুঁকিতে পড়বে না।”

তিনি আরও বলেছেন, “এই বিশৃঙ্খলার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের জবাবদিহিতার মুখোমুখি করব এবং এ ধরনের পরিস্থিতিতে যেন আমরা আর না পড়ি সেজন্য আমাদের ব্যাংকিং নীতি আরও শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে কাজ করে যাব।”

সিএনএন জানিয়েছে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা রোববার আইনপ্রণেতাদের কাছে এ বিষয়টির সর্বশেষ তথ্য তুলে ধরেছেন। এছাড়া সোমবার ‘স্থিতিস্থাপক ব্যাংকিং ব্যবস্থা’ নিয়ে কথা বলবেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকে আটকে যাওয়া সব অর্থ যেন গ্রাহকরা পেতে পারে সেজন্য রোববার নাটকীয় জরুরি সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।

প্রসঙ্গত, তারল্য সংকটের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্যাংক সিলিকন ভ্যালি বন্ধ হয়ে যাওয়ার তিন দিনের মধ্যে রোববার সিগনেচার ব্যাংক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানটিরও নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে মার্কিন ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স কর্পোরেশন (এফডিআইসি)।

শেয়ারের অস্বাভাবিক পতন হলে নিউইয়র্কভিত্তিক সিগনেচার ব্যাংক বন্ধ করে দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

এখন ব্যাংকটিতে স্থিতিশীল অবস্থা ফেরানোর চেষ্টা করা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ব্যাংক বন্ধের ঘটনার দিক থেকে এটি তৃতীয় বৃহত্তম নজির এবং ২০০৮ সালের পর দেশটির ব্যাংক খাতে এটিই সবচেয়ে বড় বিপর্যয়।

সিগনেচার ব্যাংকটি অবশ্য একটি আঞ্চলিক প্রতিষ্ঠান এবং এটির পরিধিও কম ছিল। তবে ব্যাংকটি ক্রিপ্টোকারেন্সি নির্ভর ছিল। সিগনেচার ব্যাংকের মোট সম্পদের পরিমাণ ১১ হাজার ৩৬ কোটি ডলার এবং তাদের আমানত আছে ৮ হাজার ৮৫০ কোটি ডলার। এসভিবির মতো সিগনেচার ব্যাংক বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘোষণা অনেকটা আকস্মিকভাবেই আসে।

এর আগে শুক্রবার বন্ধ হয়ে যায় সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক। বর্তমানে ওই ব্যাংকের গ্রাহকদের বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার আটকে গেছে।

সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক বৃহস্পতিবার জানায়, তারা নগদ অর্থ জোগাড়ে লসে কিছু বন্ড বিক্রি করে দিয়েছে। এছাড়া নগদ অর্থ জোগাড় করতে বাজারে আরও ২ বিলিয়ন ডলারের শেয়ার ছাড়ার ঘোষণা দেয় প্রতিষ্ঠানটি। এমন ঘোষণার পরই ব্যাংকটির গ্রাহকদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়। তারা গণহারে অর্থ উত্তোলন শুরু করেন। এতে একপর্যায়ে ব্যাংকটিতে ধস নামে।

২০০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক মন্দা শুরু হয়েছিল। সে সময় দেশটির ছোট-বড় অনেক ব্যাংক একের পর এক দেউলিয়া হয়ে গিয়েছিল। সেই মন্দা পরিস্থিতির ১৫ বছর পর এই প্রথম শীর্ষস্থানীয় কোনো ব্যাংকের এমন আকস্মিক দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটল যুক্তরাষ্ট্রে।

Link copied!