নারী ও শিশুসহ ১১১ জন রোহিঙ্গা শরণার্থী নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে ভিড়েছে একটি নৌকা। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানায়, দ্বীপটির সর্ব উত্তরের আচেহ প্রদেশের উপকূলে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছেন তারা।
মিয়ানমার ত্যাগ করা এই মানুষগুলো নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে জীবন বাজি রেখে সমুদ্রে নামে। তারা সবাই নির্যাতিত সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমান। নভেম্বর থেকে এপ্রিল মাসের মধ্যে যখন সমুদ্র তুলনামূলক শান্ত থাকে, তখন নৌকায় করে মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়ায় পাড়ি জমায় তারা।
দেশটির উত্তরপশ্চিমাঞ্চল থেকে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ মানুষ দেশত্যাগ করে। নিরাপদ আশ্রয় পেতে অনেকে মাসের পর মাস সমুদ্রে কাটান। মিয়ানমার তাদের নিজ দেশের নাগরিক হিসেবে দাবি করে না। মিয়ানমার মনে করে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ থেকে যাওয়া অবৈধ শরণার্থী।
শরণার্থীরা সবাই সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন উত্তর আচেহ সরকারের মুখপাত্র হামদানি। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে তার সরকার।
তিনি জানান, শরণার্থী রোহিঙ্গারা এখন কাছাকাছি একটি গ্রামে অবস্থান করছে। তাদের নিয়ে কী করা হবে, তা ঠিক করতে মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) বৈঠকে বসবে কর্তৃপক্ষ।
বিদ্রোহ দমনের নামে ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের ওপর সামরিক দমনপীড়ন শুরু করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। এরপর সেখান থেকে ৭ লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম মিয়ানমার ত্যাগ করে। সেই নৃশংস নিপীড়ন চলাকালে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ ও ধর্ষণের ঘটনাও ঘটেছিল বলে বর্ণনা করেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তবে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার।