যুক্তরাষ্ট্রের এক ব্যক্তি পোলিও আক্রান্ত হন ৬ বছর বয়সে। এরপর থেকে প্রায় ৭ দশকের বেশি সময় ধরে তিনি ৬০০ পাউন্ড ওজনের লোহার ফুসফুসের ভেতরে বেঁচে আছেন। এমন এক ঘটনার কথা জানা যায় নিউইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পল আলেকজান্দার নামক ওই ব্যক্তির পোলিওর কারণে ১৯৫২ সালে ঘাড় থেকে শরীরের নিচের অংশ অবশ হয়ে যায়। ফলে তিনি নিজ থেকে শ্বাস নিতে পারছিলেন না।
‘পোলিও পল’ নামে পরিচিত ওই ব্যক্তির বয়স এখন ৭৭ বছর। মার্চে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ পলকে বিশ্বের দীর্ঘতম আয়রন ফুসফুসের রোগী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
১৯৪৬ সালে জন্মানোর পর থেকে পলকে অনেক প্রতিকূলতা মোকাবিলা করতে হয়েছে। ১৯৫২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পোলিও সংক্রমনের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। তখন প্রায় ৫৮ হাজার মানুষ পোলিও আক্রান্ত হয়। যাদের অধিকাংশ ছিল শিশু। এ সময় পলও পোলিও আক্রান্ত হন।
১৯৫৫ সালে পোলিওর টিকা আসে। আর যুক্তরাষ্ট্রকে পোলিওমুক্ত ঘোষণা করা হয় ১৯৭৯ সালে। কিন্তু তা পলের কোনো কাজে আসেনি আর। তাকে লোহার ফুসফুস ব্যবহার করে জীবন কাটাতে হচ্ছে।
শ্বাস নিতে সহায়তার জন্য পলকে ক্যাপসুল আকৃতির একটি যন্ত্রের (লোহার ফুসফুস) ভেতরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। ক্যাপসুলটি রোগীর মাথা ছাড়া পুরো শরীর ঢেকে রাখে।
পল জানান, প্রথম দিকে চিকিৎসকরা বলতেন তিনি আর বাঁচবেন না। কিন্তু তা শুনে পল রাগান্বিত হতেন। আর এটাই তাকে বেঁচে থাকার প্রেরনা দিয়েছে।
পরবর্তীতে উন্নত প্রযুক্তি এলেও পল এই লোহার ফুসফুস ছাড়েননি। তার দাবি, তিনি এই যন্ত্রের সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন।




































