ব্রাজিলের স্কুলগুলোতে অস্বাভাবিক হারে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রাম ব্যবহার সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির আদালত। এই সহিংসতার সঙ্গে একটি নব্য নাৎসি গ্রুপের সংশ্লিষ্টতার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রাজিলের একজন ফেডারেল বিচারক এ নির্দেশ দিয়েছেন। নব্য-নাৎসি চ্যাট গ্রুপগুলোর বিষয়ে তথ্য দিতে ব্যর্থ হওয়ার ফেডারেল পুলিশের অনুরোধে এ অ্যাপটি বন্ধের আদেশ দেওয়া হয়।
বেশ কয়েকজন টেলিগ্রাম ব্যবহারকারী বলেছেন, এই রায়ের ফলে তারা আর এ মেসেজিং অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারবেন না। এছাড়া গুগল এবং অ্যাপলকেও অ্যাপটি ব্লক করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বুধবার এক নির্দেশনায় রাজ্যের কেন্দ্রীয় আদালতের বিচারক বলেন, “পুলিশ কর্তৃপক্ষ যেসব তথ্য উপস্থাপন করেছে তাতে টেলিগ্রাম যে তদন্তে সহযোগিতা করছে না তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। এ কারণে টেলিগ্রাম ব্যবহার সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার পাশাপাশি পুলিশকে তদন্ত শেষ করার তাগিদও দিয়েছে আদালত।”
একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ২০০২ সাল থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ব্রাজিলের বিভিন্ন স্কুলে কমপক্ষে ১৬টি হামলা বা সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। ১৬টির মধ্যে চারটি ঘটেছে ২০২২ সালের শেষ ছয় মাসে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভাও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু মানুষের তৎপরতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। মন্ত্রীপরিষদ এবং সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়নের কথা তার সরকারের বিবেচনায় রয়েছে।
এসপিরিতো সান্তো রাজ্যের একটি ফেডারেল আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, পুলিশের তদন্তে সহযোগিতা না করা টেলিগ্রামের একটি স্পষ্ট উদ্দেশ্য দেখা যাচ্ছে।
২০২২ সালের নভেম্বরে স্বস্তিকাচিহ্নধারী এক ব্যক্তি পরপর দুটি স্কুলে হামলা চালিয়ে চারজনকে হত্যা করে। এসপিরিতো সান্তো রাজ্যের ছোট্ট শহর আরাক্রুজ-এর সেই ঘটনার পর নব্য নাৎসিদের তৎপরতার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে শুরু করে পুলিশ।








































