অবশেষে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (৪ এপ্রিল) থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে ষষ্ঠ বিমসটেক সম্মেলনের সাইডলাইনে বাংলাদেশ ও ভারতের দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে বৈঠক হয়। আধা ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা বৈঠকে দুই দেশের নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠক শেষে ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি সাংবাদিকদদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি জানান, ড. ইউনূসের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ওই সময় মোদি হিন্দুসহ বাংলাদেশি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিষয়টি উত্থাপন করেন। এছাড়া বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্কের আকাঙ্খার কথা জানান। এসবের পাশাপাশি সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্র সচিব।
বিক্রম মিশ্রি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদি অন্তর্ভুক্তিমূলক, প্রগতিশীল, শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল এবং গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের প্রতি তার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি প্রফেসর ইউনূসকে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক তৈরির আকাঙ্খার কথা জানান। এছাড়া (দুই দেশের সম্পর্কে প্রভাব ফেলে) এমন কথাবার্তা এড়িয়ে চলার অনুরোধ জানান প্রধানমন্ত্রী মোদি।”
তাদের দুজনের মধ্যে সীমান্ত নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রম মিশ্রি। তিনি বলেছেন, “সীমান্তের নিরাপত্তা রক্ষায় সীমান্তে আইনের কঠোর প্রয়োগ এবং অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকানো জরুরি (বলে জানান প্রধানমন্ত্রী মোদি)। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশি হিন্দু ধর্মাবলম্বীসহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের নিয়ে ভারতের চিন্তার বিষয়টি জানান এবং তাদের বিরুদ্ধে হওয়া (কথিত) নির্যাতনের ঘটনা তদন্তের অনুরোধ জানান।”
শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে আলোচনা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে মিশ্রি বলেন, বাংলাদেশ এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক পত্র দিয়েছে। তবে হাসিনার প্রত্যর্পণের ব্যাপারে এ মুহূর্তে এরচেয়ে বেশি বলা তার জন্য ঠিক হবে না বলে মন্তব্য করেন এই ভারতীয় কূটনীতিক।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে চলে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণ করেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ওই সময় থেকেই বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর কথিত নির্যাতনের অভিযোগ তুলে আসছে নয়াদিল্লি। যেটির সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। অপরদিকে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে তাকে ফেরত চেয়ে আসছে বাংলাদেশ। যা আজকের বৈঠকে আবারও তুলেছেন প্রধান উপদেষ্টা।
 
                
              
 
																                   
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                    



































