• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২৮ মাঘ ১৪৩০, ১২ শা'বান ১৪৪৬

ইন্দোনেশিয়ায় নারী সেনা নিয়োগে কুমারীত্বের পরীক্ষা বন্ধ হচ্ছে


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০২১, ০৯:৪২ এএম
ইন্দোনেশিয়ায় নারী সেনা নিয়োগে কুমারীত্বের পরীক্ষা বন্ধ হচ্ছে

ইন্দোনেশিয়ায় নারীদের সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার জন্য কুমারীত্ব পরীক্ষার প্রথা বন্ধ হচ্ছে। দেশটির সেনাপ্রধান আন্দিকা পেরকাসা সম্প্রতি ঘোষণা দিয়ে জানান, যেসব নারী সশস্ত্র বাহিনীতে যোগদানের জন্য আবেদন করবেন, তাদের এ ধরনের পরীক্ষা করাতে হবে না।

কয়েক দশক ধরে দেশটিতে নারীদের সেনাবাহিনীতে যোগদানে কুমারীত্বের পরীক্ষা দেওয়ার বিধান রয়েছে। তাদের হাইমেন বা সতীচ্ছদ অক্ষত আছে কি না, তা দেখার জন্য একাধিক আঙুল ব্যবহার করে এই পরীক্ষা চালানো হয়। এই পরীক্ষায় কুমারীত্ব প্রমাণ করতে ব্যর্থ হলে সেই নারীর আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়। 

এই পরীক্ষা সেনাবাহিনীতে যোগদানের জন্য নারী আবেদন প্রার্থীদের সার্বিক মেডিকেল পরীক্ষার অংশ, যে পরীক্ষায় একজন নারীর সেনাবাহিনীতে যোগদানের জন্য শারীরিক সুস্থতা যাচাই করে দেখা হয়।

তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো বেশ কয়েক বছর ধরে এই প্রথা নিয়ে প্রতিবাদ করে আসছিল। তারা এই প্রথাকে বৈষম্যমূলক এবং নিপীড়নমূলক বলে দাবি করে।

ইন্দোনেশিয়ায় হিউম্যান রাইটস ওয়াচের গবেষক অ্যান্ড্রিয়াস হাসর্নো বলেন, “কুমারীত্ব পরীক্ষা মেয়েদের ওপর একটা লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা এবং খুবই অপমানজনক একটা প্রথা। এই পরীক্ষায় নারীর যোনিতে দুই আঙুল ব্যবহার করে তার সতীচ্ছদ বা হাইমেন অক্ষত আছে কিনা অর্থাৎ সে কুমারী কি না, তা পরীক্ষা করা হয়। এটা খুবই কষ্টকর পদ্ধতি।”

কুমারীত্ব পরীক্ষা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞরা জানান, কোনো নারীর সতীচ্ছদ অক্ষত থাকা বা না থাকার সাথে সে কোনো যৌন সংসর্গ করেছে কি না, তার কোনো যোগসূত্র নেই। বিজ্ঞানীদের মতে, কুমারীত্ব বলে চিকিৎসা পরিভাষায় কিছু নেই।

সমালোচনার মুখে ইন্দোনেশিয়ার সেনাপ্রধান এ প্রথা বাতিলের ঘোষণা দিয়ে বলেন, “এর আর প্রয়োজন হবে না। নির্বাচন প্রক্রিয়ার মূল লক্ষ্য কারও স্বাস্থ্যের অবস্থা যাচাই করে দেখা। সেনাবাহিনীতে যোগদানের জন্য কুমারীত্ব পরীক্ষা অবাঞ্ছিত।

দেশটির সেনাপ্রধানের এমন ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের গবেষক হাসর্নো বলেন, “সেনাপ্রধান সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছেন। এখন আঞ্চলিক ও ব্যাটালিয়ানের কমান্ডারদের এই নির্দেশ মানতে হবে এবং অপমানজনক এই পরীক্ষা যে অবৈজ্ঞানিক, তা স্বীকার করে নেওয়ার দায়িত্ব তাদের ওপরও বর্তাবে।”

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর

Link copied!