• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০২ মে, ২০২৫, ১৯ বৈশাখ ১৪৩২, ৪ জ্বিলকদ ১৪৪৬
মুক্তগদ্য

বেহেশতে কে যাবে?


বুশরা আহমেদ
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৮, ২০২২, ১২:৩২ পিএম
বেহেশতে কে যাবে?

আমি দীর্ঘ এক মাস রোজা রেখে অন্যকে গালিগালাজ করলাম, যখন যা মন চায় তা-ই করলাম, বললাম, যেমন পরনিন্দা, ঈর্ষা, অহম অর্থাৎ ইন্দ্রিয়জাত বা মানসিকসংযমের বারোটা বাজালাম, ক্ষুধার্তের যন্ত্রণা অনুভব করলাম না—সব মিলিয়ে সিয়াম সাধনার আগাগোড়া কিছুই না বুঝে শুধু খালি পেটে থাকলাম, তারপর সেহরি আর ইফতারে পেটপুরে খেলাম; বা ধরুন, আমার মাথায় টুপি, মুখে দাড়ি, গায়ে পাঞ্জাবি-পায়জামা দিয়ে চলি, পাকা মৌলভীরূপে থাকি এবং রাস্তায় মেয়েদের পাশ দিয়ে যাবার সময় পছন্দমতো দেহাংশে গুঁতো দিই!

আর অন্যদিকে এক লোকএক মাস দূরে থাক, সারা বছর রোজা-নামাজ থেকে ১০ হাত দূরে থাকে, অথচ ঠিকই সে অনুধাবন করে  ক্ষুধার জ্বালা, তাই সাধ্যমতো দুস্থের পাশে থাকে। সারা জীবন গালমন্দ, কূটচর্চা একেবারেই করে না এবং আবেগ ও কাজে সংযম বজায় রাখে। অর্থাৎ তাকে বিশেষ কোনোভাবে উৎকর্ষ অর্জনের চেষ্টা করতে হয় না (কেননা ঈশ্বর বা প্রকৃতি নিজেই তাকে আলো দান করেছেন), নিজের জীবন দিয়েই সে অন্যের জীবন ও সামষ্টিক জগৎকে উপলব্ধি করে।

তাহলে বেহেশতে কে যাবে?

প্রথম শ্রেণির মানুষ দেখেছি, বাহ্যিক ইবাদতকেই ধর্মীয় কাজ বলে নিশ্চিত থাকে।তাদের অনেকের ধারণা তারা বেহেশত পেয়ে গেছে! আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে, তারা কি সৃষ্টিকর্তাকে এতটাই বোকা ভাবে? তিনি যে অন্তর্যামী, সেটা কি ওই লোকেরা বুঝতে পারে না?

আর দ্বিতীয় শ্রেণির মানুষের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। তারা কী পাবে তারা জানে না। আমার জানতে ইচ্ছে করে তারা বেহেশত না জাহান্নাম—কোনটা পাবে তারা?

Link copied!