• ঢাকা
  • শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬
শিল্পী সমিতির নির্বাচন

দুই গালে চুমু চেয়েছিলেন পীরজাদা : নিপুণ


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩০, ২০২২, ০৪:৪৮ পিএম
দুই গালে চুমু চেয়েছিলেন পীরজাদা : নিপুণ

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে বিভিন্ন অনিয়ম হওয়ার অভিযোগ করেছেন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ও অভিনেত্রী নিপুণ আক্তার।

রোববার (৩০ জানুয়ারি) বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত নির্বাচন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন।

নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা হারুনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে অভিনেত্রী নিপুণ বলেন, “নির্বাচনের দিন সকাল বেলা উনি (হারুন) আমার কাছে দুই গালে দুইটা কিস (চুমু) চাচ্ছিলেন। উনার গালে দুইটা চড় লাগানো উচিত ছিল। যেটা আমি করিনি। আমার দুই নারী প্রার্থী সেখানে ছিল। তারাও দেখেছে এই ঘটনা। তখনই আমার উনার গালে চড় দিয়ে নির্বাচনটা বন্ধ করে দেওয়া উচিত ছিল।”

হারুনকে উদ্দেশ্য করে নিপুণ আরো বলেন, “পীরজাদা হারুন একজন সরকারি চাকরিজীবী। আমি বলবো, উনি যে চাকরিটা করেন, সুষ্ঠু তদন্ত করে সেটার ওপরও ব্যবস্থা নেওয়ার উচিত। উনাকে এফডিসি থেকে, অভিনয় শিল্পী গোষ্ঠী থেকে বঞ্চিত করা উচিত। উনাকে কোনো অভিনয়ে আর কখনো নেওয়া উচিত না।”

এখনো কেন জাহিদ খানের প্রার্থীতা বাতিল করা হচ্ছে না— এমন প্রশ্ন করে নিপুণ আরো বলেন, “নির্বাচনের নিয়মাবলিতে লেখা আছে, যদি নির্বাচনের সময় টাকা আদান-প্রদান হয় তাহলে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কিন্তু কি পদক্ষেপ নিয়েছেন নির্বাচন কমিশন? পীরজাদা হারুন-জায়েদ খান একটা গ্যাং। এই গ্যাং মিলে আমাদের বিরুদ্ধে কাজ করেছে। এমনকি আমাদের জীবনও নিরাপদ না। আমি আমার জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে বনানী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে এসেছি।”

নিপুণ আরো বলেন, “আজকে আমি হারিনি। হেরে গেছে পুরো বাংলাদেশ। পুরো বাংলাদেশ থেকে আমি যে ভোটিং পেয়েছি, সেটার সামনে জায়েদ খান নামক চক্রটা দাঁড়াতেই পারে না। পুরো বাংলাদেশ যেখানে হেরে গেছে, আমি বলবো, প্রধানমন্ত্রী আপনি শীঘ্রই এফডিসিতে আসেন, পা দেন। পা দিয়ে এই চক্রকে ধরেন। এই চক্রকে না ধরলে চলচ্চিত্র আর বাঁচাতে পারবেন না।”

অভিযোগ জানিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের কোনো অ্যাসিস্টেন্ট ঢুকতে পারেনি। তাদের ছয়জন অ্যাসিস্ট্যান্ট কীভাবে ঢুকলো? আমাদের কোনো খাবার ঢুকেনি। তাদের ৬০০ খাবার ঢোকেছে। তাহলে নিয়ম-কানুন কি সব আমাদের জন্য ছিল? তাদের জন্য কোনো নিয়ম-কানুন ছিল না?”

অভিনেত্রী নিপুণ বলেন, “নির্বাচনের সময় যে টাকা দেওয়া হয়েছে, এটা সবাই দেখেছেন। নির্বাচনে টাকা দেওয়া হলে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমি এগুলোর সুষ্ঠু বিচার চাই। আমাদের সাথে সব ধরনের অনিয়ম করা হয়েছে।”

নিপুণ অভিযোগ করে বলেন, “নিয়ম-কানুন কি শুধু কাঞ্চন-নিপুণ পরিষদের জন্য ছিল? অন্য পরিষদের জন্য কি নিয়ম-কানুন ছিল না? নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করা পীরজাদা হারুন সাংবাদিকদের সামনে বলেছেন, টাকা দেওয়ার কোনো অভিযোগ তিনি পাইনি। টাকা দেওয়া যে হচ্ছে, এটার ভিডিও পুরো বাংলাদেশে ভাইরাল হয়েছে। আমাকেও লোকজন ভিডিও পাঠিয়েছে।”

এই অভিনেত্রী আরো বলেন, “আমাদের এবার সিদ্ধান্ত ছিল, আমরা ব্যারিকেটের ভেতর দাঁড়িয়ে থাকবো। ভোটাররা সেখান দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় যতটুকু কাছে যাওয়া যায়, ততটুকু কাছে যেতে পারবো। তাহলে উনি (জায়েদ খান) কাছাকাছি গিয়ে ভোটাদের গলায় হাত দিয়ে কি দিচ্ছিলেন? এই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরও পীরজাদা কোনো সিদ্ধান্ত নেননি।”

সংবাদ সম্মেলনে ইলিয়াস কাঞ্চন, রিয়াজ, সাইমনসহ কাঞ্চন-নিপুণ পরিষদের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

Link copied!