• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬
প্রিয়াঙ্কা থেকে কিম কার্দাশিয়ান

কেন তারকারা সারোগেসির মাধ্যমে মা হন!


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৪, ২০২২, ০৮:২৭ পিএম
কেন তারকারা সারোগেসির মাধ্যমে মা হন!

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে ২২ জানুয়ারি শুক্রবার মা হওয়ার খবর জানান বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। সারোগেসি পদ্ধতিতে মা হয়েছেন এই নায়িকা। প্রিয়াংকাই নতুন নয়, সারোগেসি পদ্ধতিতে বাবা-মা হওয়ার ঘটনা বলিউড আর হলিউড পাড়ার অহরহ ঘটনা।বিখ্যাত তারকাদের অনেকেই রায়েছেন যারা তাদের সন্তান নিতে চিকিৎসা বিজ্ঞানের সহায়তা নিয়েছেন। স্বাস্থ্য সমস্যা, পরিবার পরিকল্পনা, ব্যস্ত জীবন কিংবা ব্যক্তিগত ইচ্ছার কারণেই তারকারা সারোগেসি পদ্ধতি বেছে নিচ্ছেন।

সারোগেসি পদ্ধতি কী?

কেনই বা এই পদ্ধতি এখন তারকাদের কাছে এতোটা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে? এমন কৌতুহল এখন ভক্তদের মনে নাড়া দিচ্ছে। বিজ্ঞানের ভাষায়, একজন নারীর গর্ভে অন্য দম্পতির সন্তান ধারনের পদ্ধতিকে সারোগেসি বলে। এটি দীর্ষকালীন একটি পদ্ধতি। এই পদ্ধতির শুরুতে আইভিএফ পদ্ধতিতে স্ত্রী ও পুরুষের ডিম্বাণু ও শুক্রাণু দেহের বাইরে নিষিক্ত করে নেওয়া হয়। এরপর তা নারীর গর্ভাশয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়।

সারোগেসির প্রয়োজন হয় কেন? অনেক চেষ্টার পরও যখন সন্তান গর্ভধারণের কোনো পথ থাকে না তখন সারোগেসিই পদ্ধতিই হয় সমাধান। এর পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে। অনেক চেষ্টা সত্ত্বেও বারবার মিসক্যারেজ হওয়া, আইভিএফ চিকিৎসায় গর্ভধারণ না হওয়া, অকালে মেনোপজ, জরায়ুতে অস্বাভাবিকতা বা অস্ত্রোপচারের কারণে গর্ভধারণে অক্ষমতার কারণে সারোগেসি পদ্ধতির দিকে ঝুঁকে পড়েন দম্পতিরা।

বিজ্ঞানের ভাষায়, সারোগেসি দুই ধরনের হয়, পার্শিয়াল সারোগেসি, যেখানে সন্তানধারণে কোনও ভূমিকাই পালন করেন না মা। বাবার শুক্রাণু আর সারোগেট মায়ের ডিম্বাণু থেকে শিশুর জন্ম হয়। অন্যটি হচ্ছে ট্রু-সারোগেসি/জেস্টেশনাল/আইভিএফ সারোগেসি। যা মায়ের ডিম্বাণু নিয়ে ল্যাবে ভ্রূণ তৈরি করা হয়। এরপর সারোগেট মায়ের জরায়ুতে প্রতিস্থাপন করা হয় ভ্রূণটি।

পার্শিয়াল সারোগেসি পদ্ধতিতে নারীর ডিম্বাণু এবং গর্ভ – দুটোই ভাড়া নেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে সন্তানের ওপর মায়ের একটা জৈবিক অধিকার থেকে যায়। অন্যদিকে আইভিএফে মায়ের ডিম্বাণু ‘স্পার্ম ব্যাংক` থেকে আনা অন্য পুরুষের শুক্রাণুর সঙ্গে অথবা বাবার শুক্রাণু ডোনার মহিলার ডিম্বাণু দেহের বাইরে নিষিক্ত করে ভাড়া দেওয়া মহিলার গর্ভে প্রতিস্থাপন করা হয়। ভূমিষ্ট সন্তানের ওপর সারোগেটের মায়ের কোনো অধিকার থাকে না।

এই ছিল সারোসেগি পদ্ধতি নিয়ে কিছু ধারণা। এবার ফিরে আসি তারকাদের জীবনের দিকে। যারা সারোগেসি পদ্ধতিকে সেরা বলে মনে করেছেন। ঠিক কী কারণে তারকাদের কাছে সারোগেসি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে তার কিছু ব্যাখ্যা নিয়েই থাকছে এই আয়োজন_

প্রিয়াঙ্কা চোপড়া: প্রিয়াঙ্কা চোপড়া এবং নিক জোনাস সারোগেসির মাধ্যমে বাবা-মা হয়েছেন। যদিও ছেলে নাকি মেয়ে, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে জানায়, কেন প্রিয়াঙ্কা সারোগেসি বেছে নেয়। প্রিয়াঙ্কার স্বাস্থ্যগত কোনো সমস্যা ছিল না। কিন্তু বয়স যখন ৩৯, তখন তা ভাবাতে বাধ্য করে। সেই সঙ্গে প্রিয়াঙ্কার কাজের ব্যস্ততা তাকে এই সারোগেসিতে ঝুঁকতে উৎসাহিত করেছে।

একতা কাপুর: ভারতীয় তারকা একতা কাপুর সবাইকে অবাক করে জানিয়েছিলেন তিনি সারোগেসির মাধ্যমে মা হয়েছেন। একতা নিজেই জানিয়েছিলেন, তিনি ৭ বছর ধরে মা হওয়ার চেষ্টা করেছেন। একাধিক ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর, তিনি সারোগেট বেছে নেন।

সানি লিওন: বলিউড অভিনেত্রী সানি লিওন প্রায়ই বলতেন, একজন দম্পতি সন্তান নেওয়ার সিদ্ধান্ত একান্তই তাদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এই অভিনেত্রী সারোগেসির মাধ্যমে যমজ ছেলে আশের এবং নোয়ার জন্ম দিয়েছিলেন। সানি জানান, আমরা অনেক বছর আগে আমাদের পরিবারকে সম্পূর্ণ করার জন্য সারোগেসি বেছে নিয়েছিলাম। কারণ আমি কাজ বন্ধ করতে চাইনি।

শিল্পা শেঠী: বলিউড অভিনেত্রী শিল্পা শেঠী সারোগেসির মাধ্যমে দ্বিতীয় সন্তানের মা হয়েছিলেন। এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, তিনি একটি রোগে ভুগছেন যা গর্ভপাত ঘটায়। একটি সন্তান দত্তক নেওয়ার জন্য প্রায় চার বছর অপেক্ষা করেছিলেন। কিন্তু সেটিও ব্যর্থ হয়। এরপর সারোগেট পদ্ধতি বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

লিসা রে:  লিসা রে ২০০৯ সালে একধরনের ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন। যে কারণে এই বলিউড অভিনেত্রীর প্রচুর ঔষধ খেতে হয়েছিল। এজন্য লিসার সন্তান ধারণ করা কঠিন ছিল। তবে প্রযুক্তির কল্যাণে সারগোসির মাধ্যমে মা হন লিসা।

কিম কারদাশিয়ান: ইংরেজ মডেল কিম কারদাশিয়ান খোলাখুলিভাবে তার গর্ভধারণের জটিলতার কথা বলেছিলেন। তিনি জানান, প্রথম দুটি সন্তান জন্মানোর পর আবার গর্ভধারণ করা বেশ বিপদজনক ছিল। তাই শিকাগো এবং সামকের জন্য সারোগেট বেছে নিয়েছিলেন।

Link copied!