প্রায় তিন দশক ধরে ঢালিউডের অপ্রতিরোধ্য নায়ক হিসেবে নিজের অবস্থান ধরে রেখেছেন শাকিব খান। তবে শীর্ষ নায়ক হওয়ার পেছনের গল্পটা সুখকর ছিল না। রীতিমতো সংগ্রাম করে তিনি আজ এ পর্যায়ে এসেছেন।
শাকিব খানের নায়ক হয়ে ওঠার গল্প নিয়ে তৈরি হবে চলচ্চিত্র। এই চলচ্চিত্রের নাম ‘স্টোরি অব শাকিব খান’। এটি পরিচালনা করবেন গুণী নির্মাতা এফ আই মানিক। বৃহস্পতিবার চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতিতে ছবিটি নিবন্ধিত হয়েছে।
এ বিষয়ে নির্মাতা এফ আই মানিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “হ্যাঁ আমি ‘স্টোরি অব শাকিব খান’ বানাতে যাচ্ছি। শিগগির এর শুটিং শুরু হবে। অনেক দিন ধরে চলচ্চিত্র নির্মাণে বিরতি ছিল। এটি দিয়ে আমি নতুন কাজ শুরু করতে যাচ্ছি।”
চলচ্চিত্রের গল্পটি কিসের—প্রশ্নের জবাবে এফ আই মানিক বলেন, “ঢাকাই চলচ্চিত্রের প্রধান নায়ক শাকিব খানের জীবনের একটি অংশ থেকে এই ছবির গল্প আবর্তিত হয়েছে। এখানে শাকিব খানের শৈশব-কৈশোরের গল্প থাকবে না। থাকবে রঙিন দুনিয়ায় প্রবেশের ঠিক পূর্ব থেকে জনপ্রিয় ও প্রধান নায়ক হয়ে ওঠার গল্প।”
শাকিব খানের ভূমিকায় ও তার অন্যতম পার্শ্ব-অভিনেত্রী অপু বিশ্বাসের চরিত্রে কে অভিনয় করতে যাচ্ছেন—এ বিষয়ে নির্মাতা এখনই কোনো তথ্য জানাতে চাননি
শাকিব খানের আসল নাম মাসুদ রানা। চলচ্চিত্র দুনিয়ায় শাকিব খান নামটি কিভাবে পেলেন সে গল্পটিও দর্শকরা দেখতে পাবেন বলে জানান এফ আই মানিক।
শাকিব খান কর্মজীবনে একাধিক পুরস্কার অর্জন করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে চারটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, আটটি মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার, তিনটি বাচসাস পুরস্কার ও চারটি সিজেএফবি পারফরম্যান্স পুরস্কার। তিনি ২০১০ সালের ‘ভালোবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না’, ২০১২ সালের ‘খোদার পরে মা’, ২০১৫ সালের ‘আরও ভালোবাসবো তোমায়’ এবং ২০১৭ সালের ‘সত্তা’ চলচ্চিত্রের জন্য চারবার শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
শাকিব খান ১৯৭৯ সালের ২৮ মার্চ গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার রাঘদীতে মাসুদ রানা হিসেবে জন্মগ্রহণ করেন। খানের আদি নিবাস গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলায়। তার বাবা আব্দুর রব ছিলেন একজন সরকারি কর্মচারী এবং মাতা নূরজাহান একজন গৃহিণী। তার পরিবারের অন্য সদস্যরা হলেন—এক বোন ও এক ভাই। বাবার চাকরির সুবাদে তার শৈশব-কৈশোর থেকে বেড়ে ওঠা নারায়ণগঞ্জ জেলায়।