ভালোবেসে দুই যুগ আগে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী এস আই টুটুল মডেল অভিনেত্রী তানিয়া আহমেদ। নিজেদের মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় গেল বছরের জুলাইয়ে বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন তারা। এর আগে প্রায় ৫ বছরের মতো আলাদা ছিলেন। এই জুটির বিচ্ছেদে চমকে উঠে শোবিজ অঙ্গন।
বিচ্ছেদ নিয়ে এতদিন সেইভাবে মুখ খোলেননি টুটুল। সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন এ সংগীত শিল্পী।
টুটুল বলেন, “এটা সত্য যে আমি তানিয়ার সঙ্গে কখনোই ডিভোর্স চাইনি। নিজ উদ্যোগেও ডিভোর্স দেইনি। বরং সেই চেয়েছিল বারবার। আর কেন চেয়েছিল, সেটাও সে নিজেই ভালো জানে।”
এই সংগীত শিল্পী আরও বলেন, “তানিয়া আমাকে বলেছিল সে স্বাধীনভাবে জীবন-যাপন করতে চায়। সে আর সংসারের কোনো বাধ্যবাধকতা চায় না। যখন যেখানে খুশি চলে যাবে, এমনটাও বলেছিল। কখন ফিরবে সেসব কখনো আমি জানতেও চাইতে পারব না। একপর্যায়ে সে তার চাওয়া মতো চলাফেরাও শুরু করেছিল। আর আমার সঙ্গে তার আচার-ব্যবহারসহ আরও অনেক কিছুই, যা মেনে নিতে পারিনি আমি। এ কারণে একসময় আমিও ডিভোর্স দিতে রাজি হয়েছিলাম।”
বিচ্ছেদের দিকে কে এগিয়েছে এ ব্যাপারেও কথা বলেছেন এস আই টুটুল। তিনি বলেন, “তানিয়া ওর ছোট ভাই এবং ভাবীর মাধ্যমে সব প্রক্রিয়া করেছিল। অথচ সবাই জানলো আমিই নাকি তাকে ডিভোর্স দিয়ে চলে গেছি। ডিভোর্স প্রক্রিয়া আমার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়নি। এ ক্ষেত্রে আমাকে ভুল বুঝেছেন মানুষ।”
এদিকে দুজনের ডিভোর্সের খবর প্রকাশ্যে আসার পরই খবর ছড়ায়, আমেরিকায় ফের বিয়ে করছেন এস আই টুটুল। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, “তানিয়ার সঙ্গে ডিভোর্সের যখন এক বছরেরও বেশি সময় পার হয়, তখন একজন সিঙ্গেল মানুষ হিসেবে জীবন কাটাচ্ছিলাম আমি। তখন একটি অনুষ্ঠানে নিউইয়র্কে যাওয়া হয়। সেখানে একজনের সঙ্গে দেখা হয়, সখ্যও হয়, একপর্যায়ে সম্পর্কও হয়। আমাদের মধ্যে বিয়ের কথাও হয়েছিল। কিন্তু আল্লাহ হয়তো চাননি, তাই কোনোভাবে সেই বিয়েও হয়নি। আর আমাদের মধ্যকার সম্পর্কটা পরিচয়, সখ্য ও প্রেম পর্যন্ত সীমাবদ্ধ ছিল।”