• ঢাকা
  • রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২, ২৫ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

মাদকাসক্তের চরিত্রে সিডনি সুইনি


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ২২, ২০২৫, ১০:২১ এএম
মাদকাসক্তের চরিত্রে সিডনি সুইনি
ছবি: সংগৃহীত

হলিউড অভিনেত্রী সিডনি সুইনি অভিনীত নতুন সিনেমা ‘ইকো ভ্যালি’ মুক্তি পেয়েছে। গত ১৩ জুন ওটিটি প্ল্যাটফর্ম অ্যাপল টিভি প্লাসে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে সিনেমাটি বেশ আলোচনায় এসেছে।


সম্প্রতি মার্কিন সাময়িকী ভ্যারাইটিকে দেওয়া সাক্ষাৎকার ‘ইকো ভ্যালি’ সিনেমায় নিজের অভিনীত চরিত্রটির প্রস্তুতি নিয়ে কথা বলেছেন ২৭ বছর বয়সী এ অভিনেত্রী।

সিডনি সুইনি বলেন, ‘আমি অনেক ভিডিও দেখেছি। এক ব্যক্তি আসক্তদের নিয়ে একটি সাক্ষাৎকারভিত্তিক সিরিজ করেন। সেখানে মাদকাসক্তরা যেসব অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করতেন, সেগুলো থেকে আমি প্রেরণা নিয়েছি।’

মাইকেল পিয়ার্সের সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার সিনেমাটিতে ক্লেয়ার চরিত্রে অভিনয় করেছেন সিডনি সুইনি। গল্পের ক্লেয়ার এক উগ্র, হেরোইন-আসক্ত তরুণী, একের পর এক ভুল সিদ্ধান্তে ভয়ানক এক সংকটে জড়িয়ে পড়েন ক্লেয়ার। 

মাদকাসক্তি ও মানসিক ভাঙনের চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে একদিন রক্তাক্ত অবস্থায় তার মায়ের (জুলিয়ান মুর) প্রত্যন্ত খামারবাড়িতে হাজির হন ক্লেয়ার। দম বন্ধ করা আবহে শুরু হয় মা-মেয়ের সম্পর্কের নতুন এক অধ্যায়। অতীতের গোপন সত্য উন্মোচিত হতে হতে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন তারা।

‘ইউফোরিয়া’ অভিনেত্রী সিডনি সুইনিকে পর্দায় আবেদনময়ী হিসেবে দেখেই অভ্যস্ত দর্শক। সেখান থেকে এ রকম একটি চরিত্র তার জন্যও ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। তবে সিডনি জানান, জুলিয়ান মুরের মতো অভিনেত্রীকে পাশে পাওয়ায় তার কাজটা অনেক সহজ হয়ে গেছে। 

তার ভাষ্যে, ‘জুলিয়ান অসাধারণ একজন অভিনেত্রী। তার আবেগী সান্নিধ্য খুব নিরাপদ মনে হয়। ফলে আমি গভীর আবেগের জায়গাগুলোয় খুব স্বাচ্ছন্দে অভিনয় করে যেতে পেরেছি।’

ক্লেয়ার চরিত্রটিকে বলা যায়, কাঁচা আবেগ দিয়ে তৈরি। যখন-তখন তিনি ভেঙে পড়েন। আবার বাইরে থেকে খুবই কঠিন। এ ধরনের মানসিকতার ব্যক্তিরা ঠিক কেমন হয়, বোঝার জন্য ইউটিউবে বাস্তব মাদকাসক্তদের গল্প খুঁজেছেন সুইনি।

তবে অভিনেত্রী জানান, চরিত্রের প্রস্তুতি একেক সময় একেক রকম হয়। সব সময়ই পরিকল্পনা করে অভিনয় করেন না তিনি। হাসতে হাসতে বলেন, “অনেক সময় আমি কিছুই ঠিক করে রাখি না। এমনকি ভাবতেও চাই না। তখন নিজেকে নির্মাতার হাতে সঁপে দিই।”

সিনেমাটিতে অভিনয়কে নিজের ক্যারিয়ারের বড় ঘটনা হিসেবেই দেখছেন সিডনি। কারণটাও শোনালেন, ‘থ্রিলারের মোড়কে এটা আসলে পরিবারের গল্প। এ ধরনের গল্প নিয়ে এখন বেশি কাজ হয় না। এটা আমাকে পুরোনো দিনের চলচ্চিত্রগুলোর কথা মনে করিয়ে দেয়, যেখানে এক নারীকেন্দ্রিক গল্প থাকে—একজন সাধারণ নারী, যে অসাধারণ কিছু করে ফেলে। আমি কৃতজ্ঞ যে এমন একটি চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছি।’

সাবেক বক্সার ক্রিস্টি মার্টিনের জীবন অবলম্বনে নির্মিতব্য সিনেমার প্রস্তুতি নিয়ে এখন ব্যস্ত সিডনি। অভিনেত্রী জানান, চরিত্রটির জন্য তাকে ৩০ পাউন্ড ওজন বাড়াতে হয়েছে।

Link copied!