• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নামাজ পড়ে মাদ্রাসাশিক্ষার্থীদের গান শোনালেন নোবেল


গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ২৪, ২০২৩, ১২:০০ পিএম
নামাজ পড়ে মাদ্রাসাশিক্ষার্থীদের গান শোনালেন নোবেল

ভারতের সারেগামাপা-খ্যাত গায়ক মাইনুল আহসান নোবেল। আলোচনা-সমালোচনা যার নিত্যদিনের সঙ্গী। এবার তাহাজ্জুদের নামাজ শেষ করে বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে দুই কিলোমিটার পথ হেঁটে ফজরের নামাজ আদায় করলেন এই গায়ক। এ সময় মাদ্রাসার ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আড্ডা ও নিজের মেহেরবান গানটি গেয়ে শোনান নোবেল। গান শুনে নোবেলের সঙ্গে কণ্ঠ মেলান মাদ্রাসার শত শত শিক্ষার্থী।

বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) সকালে এমন কয়েকটি ছবি ও ভিডিও নিজ ফেসবুক প্রোফাইলে আপলোড করেছেন নোবেল।

পোস্টে দেখা যায় গোপালগঞ্জ শহরের ঐতিহ্যবাহী কোর্ট মসজিদ মাদ্রাসা ও এতিমখানার কয়েকজন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সঙ্গে বসে আড্ডা দিচ্ছেন নোবেল। এ সময় শিক্ষার্থীদের আবদারে তিনি মেহেরবান গানটি গেয়ে শোনাচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার সকালে এ প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় মাইনুল আহসান নোবেলের। এ সময় নোবেল বলেন, “আমাদের ইসলামে আছে নামাজের উদ্দেশ্যে বাড়ানো প্রতিটি কদমে ৭০ নেকি। আমার বাসা থেকে কোর্ট মসজিদ মাদ্রাসা প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে। বাসা থেকে প্রায় দুই হাজার কদম ফেলে মাদ্রাসায় যেতে হয়। গভীর রাতে তাহাজ্জুদের নামাজ শেষে দেখি বৃষ্টি হচ্ছে। পরে  বাসা থেকে ভিজতে ভিজতে ফজরের নামাজ আদায় করতে বের হই কোর্ট মসজিদ মাদ্রাসার উদ্দেশে। বৃষ্টি হচ্ছে বলে আমি সঙ্গে পাঞ্জাবি আর পায়জামা নিয়ে যাই। আমার পরনে ছিল লুঙ্গি এবং গেঞ্জি। ওইখানে পৌঁছে পোশাক বদলে নামাজ আদায়ের পর মসজিদের মুয়াজ্জিন আমাকে দেখে ডাক দিয়ে বসায়। মুয়াজ্জিন আমার বন্ধু হয়। ওইখানে বসে আড্ডা দেওয়ার সময় মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা একটি ইসলামিক গান গেয়ে শোনাতে বলে। এ সময় আমি আমার গাওয়া মেহেরবান গানটি গেয়ে শোনাই।”

গোপালগঞ্জে স্থায়ী হওয়ার ইচ্ছা আছে কি না, এমন প্রশ্নে নোবেল বলেন, “গোপালগঞ্জ সেটেল্ড হওয়ার ইচ্ছা আছে। আমার প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল মিউজিক ইন্ড্রাস্টিজের হেড কোয়ার্টার গোপালগঞ্জে করার ইচ্ছা আছে।”

Link copied!