• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০২ মে, ২০২৫, ১৯ বৈশাখ ১৪৩২, ৩ জ্বিলকদ ১৪৪৬

খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হলেন সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীন


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ১৬, ২০২৪, ০৮:০৫ এএম
খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হলেন সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীন
সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীন। ছবি: সংগৃহীত

জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হলেন। এর আগে তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

শনিবার (১৫ জুন) দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বেবী নাজনীনের পদোন্নতির খবর প্রকাশ হয়।

তিনি ছাড়াও বিএনপির ৯ নতুন উপদেষ্টারা হলেন- বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, যুগ্ম মহাসচিব এ এইচ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, মুজিবুর রহমান সরোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হারুন অর রশিদ, আসলাম চৌধুরী, রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হাসান জীবন, সহ-তথ্য প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক খালিদ হোসেন চৌধুরী পাহিন।

গানের জগতে বেবী নাজনীনকে বলা হতো ‘ব্ল্যাক ডায়মন্ড’। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে পরিবার নিয়ে থাকেন বেবী নাজনীন। তবে এই মুহূর্তে একমাত্র ছেলে মহারাজ অমিতাভকে নিয়ে নিউইয়র্কে আছেন। ছেলে ইউনিভার্সিটি অব হিউস্টোন থেকে আইটি নিয়ে স্নাতক করেছেন।

মাত্র সাত বছর বয়স থেকে মঞ্চে গান গাওয়া শুরু বেবী নাজনীনের। সেই যে শুরু, চলেছে টানা ২০০৮ পর্যন্ত। এরপর তার স্টেজ শো কমতে থাকে। কমে যাওয়ার প্রধান কারণ, তার রাজনৈতিক পরিচয়। ২০১৪ সাল থেকে বাংলাদেশের কোনো স্টেজ শোতে দেখা যায়নি এই শিল্পীকে। দেশের মঞ্চে গাইতে না পারলেও ইউরোপ-আমেরিকার বিভিন্ন মঞ্চে গান গেয়ে চলছেন তিনি।

বেবী নাজনীন বলেন, ‘একদম তা–ই। গণতান্ত্রিক দেশে রাজনীতি করাটা সবার স্বাধীনতা, আমিও তা–ই করেছি। অথচ এই রাজনীতি করার কারণে একের পর এক আমার কনসার্ট বাতিল হয়েছে। এমনকি টেলিভিশনের সরাসরি অনুষ্ঠান থেকেও অজ্ঞাত কারণে আমাকে বঞ্চিত করা হয়েছে। রাজনীতির কারণে আমাকে কোণঠাসা করা হয়েছে। একজন জাতীয় শিল্পী হিসেবে আমি নানা সময়ে দেশকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরেছি। গানের মাধ্যমে আমি ইন্ডাস্ট্রিকে এনহেন্স করেছি। বিএনপির রাজনীতির কারণে অনেক বছর ধরে রাষ্ট্রীয়ভাবেও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমাকে ডাকা বন্ধ। কিছুই বলি না, মনে মনে কষ্ট পাওয়া ছাড়া কিছুই তো করার নেই।’

বেবী নাজনীনের গানের হাতেখড়ি বাবা মনসুর সরকারের কাছে। তারপর জীবনের দীর্ঘ চলার পথে সংগীতের নানা দীক্ষা এবং সাধনায় নিজেই নিজেকে গড়ে তুলেছেন তিনি। ১৯৮০ সালে প্রথম সিনেমার গানে কণ্ঠ দেন তিনি। এহতেশামের ‘লাগাম’ সিনেমার গানটির সুর ও সংগীত করেন আজাদ রহমান। ১৯৮৭ সালে মকসুদ জামিল মিন্টুর সংগীত পরিচালনায় প্রকাশিত প্রথম অ্যালবাম ‘পত্রমিতা’। এটিই তার সংগীত জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। তারপর ‘নিঃশব্দ সুর’, ‘কাল সারা রাত’, ‘প্রেম করিলেও দায়’, ‘দুচোখে ঝুম আসে না’ আরও অনেক অনেক অ্যালবাম বের হয় তার।

 

বিনোদন বিভাগের আরো খবর

Link copied!