নন্দিত নাট্য নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী। চেক ডিজঅনার মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির দুইদিন পর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন এই নির্মাতা ।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) ঢাকার ৭ম যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ মো. বুলবুল ইসলামের আদালতে আত্মসমর্পণ করে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
এর আগে, গত ৬ মে মামলার ধার্য তারিখে আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় চয়নিকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন আদালত। বাদীপক্ষের আইনজীবী আব্দুস সালাম হিমেল এ তথ্য জানিয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন চয়নিকা চৌধুরী। তবে পূর্বের ধার্য তারিখে আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় তাকে তিরস্কার করেন বিচারক। পরে তার জামিন মঞ্জুর করেন।
জানা যায়, এর আগে ৬ মে মামলার বাদী প্রযোজক রাশেদুল ইসলাম রিয়াজের জেরার জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে আসামি চয়নিক চৌধুরী আদালতে হাজির হননি। তারপক্ষে আইনজীবী সময় চেয়ে আবেদন করেন। তবে আদালত সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করেন। একইসঙ্গে তার জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তাতারি পরোয়ানা জারি করেন।
পাশাপাশি এ মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য আগামী ২৬ জুন দিন ধার্য করেছেন আদালত। এর আগে ২০১৩ সালের ১৪ মে মামলা করেন প্রযোজক রাশেদুল ইসলাম রিয়াজ। এ মামলার পর ২০১৪ সালে ২ জুন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন চয়নিকা চৌধুরী। ওই বছরের ৭ আগস্ট মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলি করা হয়।
২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ৭ম যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালত তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, আসামি চয়নিকা চৌধুরীর মাধ্যমে প্রযোজক রাশেদুল ইসলাম রিয়াজ `জীবন সুন্দর হোক` নাটক নির্মাণের প্রস্তুতি নেন। এজন্য ২০১২ সালের ২৪ আগস্ট তাদের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়। চুক্তি অনুযায়ী, চয়নিকাকে দুই লাখ ৩০ হাজার টাকা দেন বাদী। ত
বে আসামি চুক্তিবদ্ধ হয়েও নাটক নির্মাণ করেননি। আসামি চয়নিকার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি নাটক নির্মাণ করতে অপরাগত প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে ২০১২ সালের ৩০ অক্টোবর চয়নিকা বাদী রিয়াজকে দুই লাখ ৩০ হাজার টাকার চেক প্রদান করেন। বাদী ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে চেক নগদায়ন করতে অনুরোধ করেন। পরবর্তীতে একাধিকবার টাকা নগদায়ন করতে গেলে চেক ডিজঅনার হয়। টাকা ফেরত চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হলেও তিনি টাকা ফেরত দেননি। পরবর্তীতে তিনি ঢাকার আদালতে এসে তার বিরুদ্ধে মামলা করেন।