সকালে গ্রেপ্তার এবং দুপুরে কারগারে পাঠানোর পর বিকেলে জামিন পান বর্তমান সময়ের আলোচিত চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি।
শনিবার (১৮ মার্চ) ওমরাহ পালন শেষে দেশে ফেরা মাত্র গ্রেপ্তার হন মাহিয়া মাহি। এরপর নানা নাটকীয়তায় দিনটি কাটে তার। সন্ধ্যায় জামিনে মুক্তি পেয়ে রাতে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এই নায়িকা বলেন, “পুলিশ প্রশাসন নয়, আমার অভিযোগ ছিল ব্যক্তি বিশেষের ওপর। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, তাই দেশে ফিরে এসেছি।”
মাহি দাবি করেন, ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের পূর্ব পাশে ‘সনিরাজ কার প্যালেস’ নামে তার স্বামীর একটি গাড়ির শোরুম রয়েছে। সেই শোরুমে দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়েছে। হামলাকারীরা তার শোরুমের গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। তারা শোরুমের বিভিন্ন আসবাব, দরজা-জানালার কাঁচ, টেবিল-চেয়ার ভাংচুর করেছে। শোরুমের সাইনবোর্ডও খুলে ফেলেছে। দুর্বৃত্তরা তার অফিসকক্ষ তছনছ করে টাকাপয়সা লুট করে নিয়ে গেছে।
ইসমাইল হোসেন ওরফে লাদেন ও মামুন সরকারের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেন মাহি।
এদিকে গাজীপুর জেলা কারাগারের সুপার মো. আনোয়ারুল করিম বলেন, “আমরা জামিনের কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তাকে কারাফটকে এনেছি। পরে ৭টা ৫০ মিনিটে তার স্বজনরা এলে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।”
এর আগে বিকেলে জমি দখল ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুই মামলায় কারাগারে পাঠানোর সাড়ে তিন ঘণ্টা পর চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে জামিন দেন আদালত। গাজীপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেন জামিন আদেশ দেন।
প্রেগনেন্সি ও সেলিব্রেটি বিবেচনায় আদালত এ আদেশ দেন বলে জানান মাহির আইনজীবী আনোয়ার শাহাদাত সরকার।
আনোয়ার শাহাদাত বলেন, তার মক্কেল আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল বলেই মামলা হওয়ার পরও দেশে চলে এসেছেন।
এর আগে ফেসবুকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বিরুদ্ধে ‘ঘুষ’ নেয়ার অভিযোগ তোলেন মাহি। পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে মাহিয়া মাহি ও রকিব সরকারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে পুলিশ।
শুক্রবার (১৭ মার্চ) রাতে বাসন থানার উপপরিদর্শক রোকন মিয়া বাদী হয়ে এ মামলা করেন। এছাড়া জমি দখলের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে হুকুমের আসামি করে আরও একটি মামলা করেন স্থানীয় বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন।
আপনার মতামত লিখুন :