‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’-এর পোস্টার ও ট্রেলার প্রকাশ

চিত্রনায়িকা পরীমনি ও চিত্রনায়ক সিয়াম আহমেদ জুটির নতুন সিনেমা ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’ মুক্তি পেতে যাচ্ছে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে। এর আগে মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর মহিলা সমিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে সিনেমাটির পোস্টার উন্মোচন ও ট্রেলার প্রকাশ করা হয়।

বসুন্ধরা নুডুলস নিবেদিত সরকারি অনুদান পাওয়া শিশুতোষ সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন আবু রায়হান জুয়েল। সিনেমা প্রসঙ্গে এই নির্মাতা বলেন, “‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’ শিশুদের সুস্থ বিনোদনের জন্য শিশুতোষ চলচ্চিত্র। সিনেমাটি সব বয়সীরাই দেখতে পারবেন। প্রত্যাশা করি সবাই সিনেমাটি দেখতে সাবই প্রেক্ষাগৃহে আসবেন।”

‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’ সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের ‘রাতুলের রাত রাতুলের দিন’ উপন্যাস অবলম্বনে। সিনেমাটির জন্য প্রথমবারের জন্য গান লিখেছেন তিনি। অনুষ্ঠানে জাফর ইকবাল নিজেও উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় লেখক বলেন, “আমরা লিখি, কিন্তু সিনেমায় সেটা দেখানো নির্মাতার জন্য অনেক কঠিন। গানটা যখন লিখি, তখন জানতাম না এতো ভালো হবে। গানটার দৃশ্য ধারণ হওয়ার পর আমাকে দেখাতে নিয়ে এসেছিলেন পরিচালক। আমার নাতি দেখে খুব পছন্দ করেছে। তখন বুঝলাম ভালোই হয়েছে গানটা। আশা করি সিনেমাটিও ভালো হবে, আপনারা হলে গিয়ে সিনেমাটি দেখবেন৷”

‘দীপু নাম্বার টু’ কিংবা ‘আমার বন্ধু রাশেদ’র মতো সিনেমার নিমাতা মোরশেদুল ইসলাম। তিনিও এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন। এই নির্মাতা বলেন, “আমি খুব এক্সাইটেড। কারণ বাচ্চাদের আরেকটা সিনেমা আসবে। শিশুতোষ সিনেমা তো তেমন হয় না। আশা করছি সেই সিনেমাটিও অনেক ভালো করবে।”

স্মৃতিচারণ করে এই নির্মাতা আরও বলেন, “২৬ বছর আগে জাফর ইকবালের গল্প থেকে সিনেমা বানিয়েছিলাম দীপু নাম্বার টু। সেটা নাকি এখনো অনেকের ভালো লাগে। সেই ভালোলাগা ছাপিয়ে যাবে অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন, সেই আশা করছি।”

মোরশেদুল ইসলাম আরেও বলেন, “চিলড্রেন ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল শুরু হবে ৪ ফেব্রুয়ারির দিকে। অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন সিনেমা দিয়ে উৎসব শুরু করতে পারলে সবারই অনেক ভালো লাগবে।”

‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’ সিনেমায় সিয়াম আহমেদ অভিনয় করছেন রাতুল চরিত্রে। অভিনেতা বলেন, “করোনা থেকে অনেকেই যেমন ফিরে এসেছে, তেমনি সিনেমাটাও ফিরেছে। রাতুল চরিত্রটা আমার অনেক আগে থেকে জানা। সেই চরিত্রটা করতে পারব, এটা কোনোদিন ভাবিনি। সেটাই হলো এবং এটা স্বপ্ন পূরণের মতো। আমি সিয়াম আহমেদ হয়ে গিয়ে ছিলাম, শিশুরা আমাকে রাতুল ভাইয়া করে ঢাকায় পাঠিয়েছ।”

সিনেমায় পরীমনি অভিনয় করেছেন তিশা চরিত্রে। তিনি বলেন, “আমার ছেলেকে নিয়ে এসেছি অনুষ্ঠানে। সিনেমাটাও দেখব। ও যখন বড় হবে, তখন দেখাবো যে তোমার জন্য একটি উপহার এই সিনেমা। করোনার সময় মনে হয়েছিল, সিনেমাটা শেষ পর্যন্ত আসবে কিনা। এখন সিনেমাটা মুক্তি পাচ্ছে, সেটাই বড় পাওয়া।”

এ সময় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের সেক্টর এ-এর হেড অব পাবলিক রিলেশনস প্রকৌশলী মো. জাকারিয়া জালাল, বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনাম, বাংলাদেশ ফিল্ম ক্লাব লিমিটেডের সভাপতি পদে কামাল মো. কিবরিয়া লিপু, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন উজ্জলসহ অনেকে।  

‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’ সিনেমায় সিয়াম ও পরীমনি ছাড়াও অভিনয় করেছেন শহীদুল আলম সাচ্চু, আজাদ আবুল কালাম ও আশীষ খন্দকার। এছাড়াও শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় করেছে প্রায় ২০ শিশু।