বলিউড সুপারস্টার আমির খানের ৬০তম শুক্রবার (১৪ মার্চ)। মিস্টার ‘পারফেকশনিস্ট’ খ্যাত এই অভিনেতার প্রতিটি চরিত্রই দর্শকের মনে গেঁথে থাকে। বিশেষ এই দিনে তার স্মরণীয় ৬টি চরিত্রের কথা এই প্রতিবেদনে-
মহাবীর সিং ফোগত (দঙ্গল):
মহাবীর ফোগত এবং তার দুই মেয়ে গীতা আর ববিতার জীবনকাহিনী দেখানো হয়েছে ‘দঙ্গল’ এ। সামাজিক গোঁড়ামি উপেক্ষা করে দুই কন্যাকে পেশাদার কুস্তিগির হওয়ার জন্য প্রশিক্ষণ দিয়ে খ্যাতি পান তিনি। কুস্তি শুধু পুরুষদের খেলা- এ ধারণাকে ভেঙে দিয়েছেন তিনিই। কুস্তিতে ভারতের হয়ে স্বর্ণপদক আনাই ছিলো মহাবীরের অধরা স্বপ্ন। ২০১০ সালে কমনওয়েলথ গেমসে সেটা পূরণ করেন তার জ্যেষ্ঠ কন্যা গীতা ফোগাট।
রাঞ্চো (থ্রি ইডিয়টস):
‘থ্রি ইডিয়টস’ সিনেমায় আমির খান দরিদ্র পরিবারের মেধাবী ছাত্র রাঞ্চোর দাস চাঞ্চোরের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। রাঞ্চোর চরিত্রের ইতিবাচকতা মুগ্ধ করেছে দর্শকদের। ‘অল ইজ ওয়েল’ সংলাপটি এখনও সবার মুখে মুখে।
ভুবন (লগান):
‘লগান’র নায়ক ভুবন। আমির খান। লগান ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সাড়া জাগানো এক অধ্যায়। কৃষকদের যাতে খাজনা না দিতে হয় সেই কারণে ইংরেজ শাসকদের ক্রিকেট খেলার চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন ‘ভুবন’।
পিকে (পিকে):
ধর্মকে যারা নিজের স্বার্থে ব্যবহার করে, পিকে তাদের আসল রূপ প্রকাশ করেছিল। রাজকুমার হিরানি পরিচালিত এ ছবিতে অভিনয় করে নতুন সাড়া ফেলে দেন আমির। ভিনগ্রহবাসীর চরিত্রে সাবলীল ও বিশ্বাসযোগ্য অভিনয় করেন তিনি।
রাম শঙ্কর (তারে জমিন পার):
ডিসলেক্সিয়ার মতো রোগ নিয়ে চমৎকার একটি সিনেমা ‘তারে জমিন পার’। এই ছবিতে তিনি স্নেহশীল শিক্ষকের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন।
সঞ্জয় সিংহানিয়া (গজনী):
প্রেম ও অ্যাকশন থ্রিলার ‘গজনী’ বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। এই ছবিটি একজন ধনী ব্যবসায়ীকে ঘিরে যিনি অ্যামনেশিয়া রোগে আক্রান্ত। ভালোবাসার মানুষ খুন হওয়ার পরে এই রোগে আক্রান্ত হন তিনি। পোলারয়েডর কিছু ছবি ও নিজের সারা শরীরে অঙ্কিত কিছু ট্যাটুর সাহায্যে এই খুনের প্রতিশোধ নিতে চেষ্টা করেন তিনি। এই চরিত্রের প্রয়োজনে আমীর খান তার ব্যক্তিগত প্রশিক্ষকের সঙ্গে টানা এক বছর শরীর গঠনের প্রশিক্ষণ নেন।