মাঝখানের বেশ কিছু বছর বাচ্চাদের সংস্কৃতি চর্চা, ক্রিয়া চর্চা যেগুলা তাদের মৌলিক প্রয়োজন, তা থেকে আমরা উদাসীন ছিলাম বলে মন্তব্য করেছেন সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর।
রোববার (২ নভেম্বর) বাংলাদেশ টেলিভিশনের শিশু-কিশোরদের প্রতিভা অন্বেষণের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘নতুন কুঁড়ি’তে গিয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।
গত ১৬ বছর কালো তালিকায় থাকা আসিফ আকবর সরকারের পালাবদলের পর বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশন থেকে আমন্ত্রণ পান। এই আমন্ত্রণ গায়ক বিনয়ের সঙ্গে ফিরিয়ে দেওয়ার কথা গত বছরের সেপ্টেম্বরে জানিয়েছিলেন। তবে এর এক বছর পর এবার বিটিভিতে গেলেন বাংলা গানের এই যুবরাজ। তবে গাইতে নয়, তিনি গিয়েছিলেন শিশু-কিশোরদের প্রতিভা অন্বেষণের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘নতুন কুঁড়ি’তে।
সেখানে তিনি বলেন, মাঝখানের বেশ কিছু বছর বাচ্চাদের সংস্কৃতি চর্চা, ক্রিয়া চর্চা যেগুলা তাদের মৌলিক প্রয়োজন, তা থেকে আমরা উদাসীন ছিলাম। ভালো নাগরিক হওয়ার জন্য সমাজ গড়ার জন্য সংস্কৃতি চর্চা এবং খেলাধুলার কোনো বিকল্প নেই। নতুন কুঁড়ি ঠিক তেমনই প্লাটফর্ম।
আসিফ আকবর বলেন, আমি নিজেই বিটিভি’র প্রোডাক্ট। বিটিভি’র প্রতি আমাদের সবসময় একটা ভালোবাসা থাকে। নতুন কুঁড়ি ছোটবেলার একটা স্মৃতি। নতুন ভাবে নতুন কুঁড়ি শুরু হয়েছে, বাচ্চারা অংশগ্রহণ করছে। এমনকি তারা খুব সাহস নিয়ে গাইছেন। সেই ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি ‘নতুন কুঁড়ি’ যুগান্তকারী একটা ইভেন্ট ছিলো। যেখানে অংশগ্রহণ করে আমি নিজেও আনন্দিত।
এসময় তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে কোনো ধর্মীয় বিভাজন থাকবে বলে আমি মনে করি না। এদেশে সবাই সমঅধিকার নিয়েই থাকে।
উল্লেখ্য, ‘নতুন কুঁড়ি’-তে অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীরা সবগুলো রাউন্ড শেষ করে পৌঁছে গেছে ফাইনাল পর্বে। গেল ১ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে ফাইনাল পর্ব, চলবে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত। এর একটি পর্বে দেখা যাবে আসিফ আকবরকে। গীতিকার ইথুন বাবু, কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী খুরশিদ আলম, হাসান চৌধুরী, শ্রাবনী রুমানা, আনিসুর রহমান তনু ছিলেন এই পর্বের বিচারক। আর সেখানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আসিফ আকবর



































