• ঢাকা
  • রবিবার, ০২ নভেম্বর, ২০২৫, ১৭ কার্তিক ১৪৩২, ১০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

সৃজিত-সুস্মিতার প্রেমের গুঞ্জন সত্যি হলো!


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৫, ০৪:৩৩ পিএম
সৃজিত-সুস্মিতার প্রেমের গুঞ্জন সত্যি হলো!

বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ—দুই বাংলার বিনোদন অঙ্গনে এই মুহূর্তে আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে দুটি ঘটনা। একদিকে কলকাতার নির্মাতা সৃজিত মুখার্জি ও অভিনেত্রী সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়ের সম্পর্ক ঘিরে গুঞ্জন, অন্যদিকে টালিগঞ্জে প্রশংসিত অভিষেক ঘটিয়েছেন বাংলাদেশের অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ। একদিকে ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে কানাঘুষা, আরেকদিকে শিল্পের মঞ্চে আন্তঃদেশীয় সাফল্য—এই দুই গল্পই এখন দর্শকমহলে সমানভাবে আলোচিত।

সৃজিত-সুস্মিতা: সেলফি থেকে শারদীয়ার সঙ্গী!

কলকাতার জনপ্রিয় পরিচালক সৃজিত মুখার্জি এবং অভিনেত্রী সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়ের বন্ধুত্বকে ঘিরে গুঞ্জন নতুন নয়। তবে সম্প্রতি পুরী সফরের সেলফি, এবং দুর্গাপূজার মহাসপ্তমীর দিনে একসাথে মণ্ডপে ঘোরা, সেই গুঞ্জনকে যেন আরও উসকে দিয়েছে।

দুজনই বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে ঘুরেছেন, ছবি তুলেছেন এবং একে অপরের ছবি তুলেছেন—যা দেখে অনেকেই বলছেন, এটা আর কেবল বন্ধুত্বের পর্যায়ে সীমাবদ্ধ নয়।

কিছুদিন আগে অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীর সিনেমা ‘ডিয়ার মা’–এর প্রিমিয়ারে একসাথে হাজির হন তারা। সেখানেই সাংবাদিকদের প্রশ্নে সুস্মিতা বলেন, আমরা খুব ভালো বন্ধু। এর বেশি কিছু বলতে পারব না।

অন্যদিকে, সৃজিত মন্তব্য করেন, একটা সেলফি নিয়ে এত আলোচনা! আমরা তো ২০২৫-এ বাস করছি! রিল্যাক্স গাইজ, রিল্যাক্স।

তবে এই "রিল্যাক্স" বললেও, অনেকে মনে করছেন এই সম্পর্ক ধীরে ধীরে গতি পাচ্ছে নতুন মাত্রায়। মিথিলা অধ্যায়ের পরে এটাই হতে পারে সৃজিতের জীবনের নতুন দিকচিহ্ন।

নওশাবার আন্তর্জাতিক অভিষেক: ‘যত কাণ্ড কলকাতাতেই’

বাংলাদেশের অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ এই মুহূর্তে আলোচনায় অনীক দত্ত পরিচালিত টালিউড সিনেমা ‘যত কাণ্ড কলকাতাতেই’–এর মাধ্যমে। ছবিতে তিনি অভিনয় করেছেন একজন বাংলাদেশি নারীর চরিত্রে, যিনি নিজের শেকড় খুঁজতে গিয়ে জড়িয়ে পড়েন রহস্যময় এক ঘটনার সঙ্গে।

তার বিপরীতে ছিলেন টালিগঞ্জের জনপ্রিয় মুখ আবির চট্টোপাধ্যায়।

ভিসা জটিলতায় কলকাতায় যেতে না পারলেও, দর্শকের ভালোবাসা ঠিকই পৌঁছেছে নওশাবার কাছে। বিশেষ করে ভারতীয় অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র তাকে নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন, তা ছিল চমকপ্রদ।

“অনেক দিন পর ন্যাকামোবর্জিত অভিনয় দেখলাম,” বলেছেন শ্রীলেখা মিত্র একটি ভয়েস মেসেজে। নওশাবা একে নিজের জীবনের বড় অনুপ্রেরণা হিসেবে দেখছেন।

মঞ্চ থেকে পর্দা—দুই দিকেই নওশাবা

শুধু সিনেমা নয়, নওশাবা এখনো সক্রিয় থিয়েটারে। সম্প্রতি তার দল মঞ্চস্থ করেছে ‘আগুনি’ নাটক, যেখানে অংশ নিয়েছেন জুলাই আন্দোলনের কর্মীরাও। এছাড়া নির্মাণ নিয়েও তার আগ্রহ রয়েছে—সম্প্রতি শেষ করেছেন একটি নির্মাণ প্রশিক্ষণ কোর্স।

নওশাবার কথায়, “আমি কোনো প্রত্যাশা নিয়ে কাজ করি না। মন দিয়ে কাজটা করি। বিশ্বাস করি, ভালো কাজ একদিন নিজের জায়গা তৈরি করে নেয়।”

দুই বাংলার দুই গল্প, এক মিলনস্থল

একদিকে সম্পর্কের গুঞ্জন, অন্যদিকে আন্তঃদেশীয় কাজের সাফল্য—দুই বাংলার এই দুই ঘটনা আবারও দেখিয়ে দিল, বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি আর আবেগ—সীমানা মানে না।

নওশাবার সাফল্য যেমন প্রশংসনীয়, তেমনি সৃজিত-সুস্মিতার সম্পর্ক যদি নতুন কিছু হয়ে থাকে, তবে সেটিও দুই বাংলার বিনোদন জগতের নতুন অধ্যায় হয়ে উঠতে পারে।

বিনোদন বিভাগের আরো খবর

Link copied!