রোববার বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার হয়েছেন কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদি। বরিশালের বাংলাবাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। রাতেই তাকে ঢাকায় আনা হয়। সোমবার তাকে আদালতে তোলা হবে।
কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদি গত কয়েক দিন ধরে সস্ত্রীক বরিশালে মামার বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরের বাংলাবাজার এলাকার ওই বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তবে প্রতিবেশীরা কেউ জানতেন না, তৌহিদ আফ্রিদি এই বাড়িতে আত্মগোপনে আছেন। তাঁকে গ্রেপ্তারের পর সবাই বিষয়টি জানতে পারেন।
সোমবার সকালে সিআইডির গণমাধ্যম শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার জসিম উদ্দীন বলেন, ‘গত জুলাই মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলার ১১ নম্বর আসামি আফ্রিদি।
এদিকে আফ্রিদিকে গ্রেপ্তারের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে অনলাইনে। যেখানে তার স্ত্রীকেও দেখা যায়। গ্রেপ্তারের পর তৌহিদ আফ্রিদি পুলিশকে বলেন, ‘আমি শুধু ভয় পাচ্ছিলাম। কারণ, আমার স্ত্রী ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা।’
গাড়িতে তোলার আগে তাকে জিজ্ঞেস করা হয়, ‘এটা কি ভাড়া বাসা?’ জবাবে তৌহিদ আফ্রিদি জানান, এটা তার দাদার বাড়ি। তার বাবা গ্রেপ্তারের পর দাদার কবর জিয়ারত করতে বরিশাল এসেছেন।
অভিযানের সময় আফ্রিদিকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি পালাব না। কোরআনের কসম, আমি ওমরাহ করে এসেছি। আমি কেমন ছেলে, তা সবাই জানে।’
একই মামলায় আগেই গ্রেপ্তার হয়েছেন তার বাবা, মাই টিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথী। ১৭ আগস্ট তাকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মামলায় মোট ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এর মধ্যে প্রধান আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, দ্বিতীয় আসামি সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং তৃতীয় আসামি পুলিশের সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল–মামুন। পাশাপাশি অজ্ঞাতনামা আরও দেড় শতাধিক জনকে আসামি করা হয়েছে।