• ঢাকা
  • শনিবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩০, ১৮ রজব ১৪৪৬

শ্রমিকদের সঙ্গে জুলুম করছেন অনন্ত জলিল!


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুলাই ৩১, ২০২১, ০৫:৫৬ পিএম
শ্রমিকদের সঙ্গে জুলুম করছেন অনন্ত জলিল!

চিত্রনায়ক হলেও অনন্ত জলিল একজন পুরোদস্তুর পোশাক ব্যবসায়ী। ‘বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ’ ব্যক্তি হিসেবে পেয়েছেন সিআইপি স্বীকৃতিও। চলচ্চিত্রে প্রযোজনা ও অভিনয় করেন শখের বশে। 

সরকার ১ আগস্ট (রোববার) থেকে রফতানিমুখী শিল্পকারখানা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তের পর অনন্ত ফেসবুক পাতায়, নিজের গার্মেন্টসকর্মীদের কাজে যোগ দেওয়ার নোটিশ দিয়েছেন। এরপর থেকে তোপের মুখে পড়েন তিনি। 

ফারহানা বীথি নামে একজন পোস্টকৃত নোটিশের মন্তব্যের ঘরে লিখেছেন, “আপনি সবসময় বলেন আপনি শ্রমিক বান্ধব, এই তার নমুনা? আপনার সিনেমায় যেমন ক্ষমতা থাকে শ্রমিকদের তো তা নেই, একটাবার চিন্তা করলেন না গণপরিবহন না চললে কীভাবে তারা ফিরবে? শ্রমিকদের কথা চিন্তা করে সিদ্ধান্ত বদলে ফেলুন, নয়তো গণপরিবহন চালুর ব্যবস্থা করুন।”

শামীম ওসমান নামের একজন ক্ষোভ নিয়ে লিখেছেন, “স্যার, বেয়াদবি মাফ করবেন। আপনারা ফ্যাক্টরি খোলার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলে দিনের পর দিন দৌড়া-দৌড়ী করেছেন। অথচ শ্রমিকদের যাতায়াত ব্যবস্থার ব্যাপারে কোনও ধরনের সুপারিশ করেননি। আপনারা নোটিশ দিচ্ছেন কেউ যেন অনুপস্থিত না থাকে।”

মোস্তাফিজুর রহমান পান্না নামে আরেকজন ব্যক্তি লিখেছেন, “আমি আপনাকে যথেষ্ট শ্রদ্ধা ও সন্মান করি। আপনার বিবেককে আপনি প্রশ্ন করেন তো, ভাবেন আপনি একজন শ্রমিক আর আপনি যে প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক সেই প্রতিষ্ঠানের মালিক জানেন যে, নির্দিষ্ট কোনো এক তারিখ পর্যন্ত গণপরিবহন বন্ধ থাকবে, সেক্ষেত্রে আপনার মালিক কোনো এক বার্তার মাধ্যমে হুট করে জানিয়ে দিলেন অমুক তারিখ থেকে আপনাকে অফিস করতে হবে তখন আপনি ৩০০-৪০০ অথবা ৫০০-৬০০ কিলোমিটার পথ কীভাবে পাড়ি দিয়ে নির্দিষ্ট তারিখে গিয়ে অফিস করবেন। এই সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষগুলো নির্দিষ্ট ভাড়ার চাইতে ৬০% ভাড়া বেশি দিয়ে আসছে, তাড়া আবার কিভাবে ৬০% ভাড়া বেশি দিয়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাবে, যদি গণপরিবহন না চলে। গণপরিবহন চললে একটা কথা ছিল।”

এ সময় তিনি অনুরোধ জানিয়ে লেখেন, “তাই আপনার কাছে আমার বিশেষ অনুরোধ আপনারা যারা গার্মেন্টস মালিক আছেন তারা সবাই মিলে সরকারকে অনুরোধ করেন যাতে আগামীকাল থেকে গণপরিবহন খুলে দিয়ে সাধারণ মানুষকে সুন্দর ও সাবলীলভাবে ঢাকায় পৌঁছাতে সাহায্য করে। তবেই না আপনারা নির্দিষ্ট তারিখ থেকে আপনাদের শ্রমিককে অফিস করাতে পারবেন, নতুবা সম্ভব না। আর যদি গণপরিবহন খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা না করে নির্দিষ্ট তারিখে অফিস করতে বলেন, তাহলে এটা আপনাদের সাধারণ শ্রমিকদের উপর জুলুম করা হবে।”

এমনসব মন্তব্যের পরেও অনন্ত জলিলের কোনো প্রতি উত্তর পাওয়া যায়নি এখন পর্যন্ত। তবে মন্তব্যকারীদের আশা, শ্রমিকদের কথা বিবেচনা করে তিনি এমন নোটিশ সরিয়ে নেবেন। 

Link copied!